 
    
আজ শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, জানা গেছে, কিছু অসাধু আইএসপি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে সংগঠিত DDoS (Distributed Denial of Service) আক্রমণ চালিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা ধ্বংসের চেষ্টা করছে। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডিং (আইএসপি) খাতে ‘ভয়ংকর সাইবার ষড়যন্ত্রের’ তথ্য-প্রমাণ সরকারের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে এবং তাদের বর্তমান লাইসেন্স বাতিলসহ নতুন লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করা হতে পারে। বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, কোনো নেটওয়ার্কে বেআইনি প্রবেশ, হ্যাকিং বা ইচ্ছাকৃত সেবা বিঘ্ন ঘটানো একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
তিনি বলেন, সাইবার আক্রমণের পাশাপাশি আইএসপি খাতের আরেকটি বড় সমস্যা হলো বিপুল পরিমাণ আর্থিক বকেয়া এবং প্রতারণা। তথ্য অনুযায়ী, বহু আইএসপি কোম্পানি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে অর্থ পরিশোধ না করে কৌশলে অন্য আইটিসি বা আইআইজি প্রোভাইডারে স্থানান্তরিত হয়েছে। বিটিআরসি স্পষ্ট জানিয়েছে, বকেয়া অপরিশোধিত রেখে কোনো লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।
এ ছাড়া, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত কিছু কোম্পানি কোটি কোটি টাকা পাওনার নামে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভুয়া চেক দিয়ে প্রতারণা করেছে, যার ফলস্বরূপ চেক বাউন্সিং-এর মতো গুরুতর আর্থিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ‘আমরা নেটওয়ার্ক’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। এই গুরুতর আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ।
নেটওয়ার্ক সুরক্ষায় দ্রুত বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের ইন্টারনেট সেবা খাতকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করতে বিটিআরসি সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানের প্রতি কঠোর নির্দেশ জারি করেছে:
সুরক্ষা ব্যবস্থা: প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত অ্যান্টি-DDoS সেটআপ ও লোড-ব্যালান্সার স্থাপন করতে হবে।
বিনিয়োগ: নেটওয়ার্ক নিরাপত্তায় যথাযথ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিযোগিতা: প্রতিযোগিতা সীমিত করতে টার্গেটেড অন্যায় আচরণ বন্ধ করতে হবে।
আইনি সহায়তা: ক্ষতিগ্রস্ত আইএসপি-দের প্রতি বিটিআরসির আহ্বান— তারা যেন শুধু সরকারের ওপর নির্ভর না করে, বরং একত্র হয়ে DDoS আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করলে সরকার অপরাধ দমনে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে সক্ষম হবে।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
