নাহিদ হাসান: [২] বিচিত্রময় এ জগতের কতটুকুই বা জানি আমরা। অনেক রহস্যই রয়ে গেছে অজানা। তেমনি একটি রহস্যময় জায়গা আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার লেক ন্যাট্রন। যা আফ্রিকার সবচেয়ে নির্মল হ্রদগুলির মধ্যে একটি। এর পানির সংস্পর্শে আসলে কিছু প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়।
[৩] এর সৌন্দর্যের কারণে প্রতি বছর অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে। দুর্ঘটনাবসত এদের অনেকেই মারা যায়। তবে এখানে কিছু প্রাণী যেমন:- তেলাপিয়া মাছ ও ফ্লেমিঙ্গো পাখিসহ বেশকিছু প্রজাতির প্রাণী বসবাস করতে দেখা যায়।
[৪] সুন্দর অথচ বেশ ভয়ঙ্কর তানজানিয়ার এই হ্রদটির ধারে সারে সারে পড়ে রয়েছে পাথরের পশুপাখির মূর্তি। দেখে মনে হবে কোনও ভাস্করের নিখুঁত ভাস্কর্য। একে তো ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এক মুহূর্ত ওই হ্রদে তিষ্ঠোনোর জো নেই। কোনও ক্রমে তাপমাত্রার হাত থেকে বাঁচলে, সে বাঁচা হবে মৃত্যুর থেকেও ভয়ঙ্কর। ধীরে ধীরে পাথরের মতো হয়ে যাবে শরীর।
কেন এমনটা ঘটে?
[৫] মূলত, ন্যাট্রন হ্রদের বৈরী আবহাওয়ার প্রতি সকল প্রাণীর অভিযোজন ক্ষমতা না থাকার কারণেই হ্রদের পানিতে পড়ে যাওয়া প্রাণীদের মৃত্যু ঘটে এবং দেহের ওপর হ্রদের পানিতে থাকা অতি ক্ষারীয় লবণের আস্তরণ পড়ে। লেকের জলের সোডা আর নুন লেগে যায় পাখি বা প্রাণীটির শরীরে। যা শুকোনোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কামড়ে ধরতে থাকে। আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত হয় ওই লবন আর সোডা। এক সময় পাখিগুলির শরীর রূপ নেয় পূর্ণাঙ্গ চুনাপাথরের মূর্তিতে।
[৬] এ ঘটনাকেই বিগত কয়েক বছর ধরে তানজানিয়ার ন্যাট্রন হ্রদে কোনো জীবন্ত প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায় দাবিতে প্রচার হয়েছে। তবে হ্রদটিতে কোনো জীবন্ত প্রাণী পড়লেই মরে পাথর হয়ে যাওয়ার তথ্যটি পুরোপুরি সত্য নয়। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :