শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে আজ: সালাহউদ্দিন আহমদ (ভিডিও) ◈ সিলেট পৌঁছেছেন তারেক রহমান ◈ আজ রাজধানীতে চলাচলে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা ◈ হাদি হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা শঙ্কা: গুরুত্বপূর্ণ ১২৭ নেতা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ◈ ৩০০ ফিট ও কুড়িল এলাকায় জনসমাগম, প্রস্তুত ১৭ অ্যাম্বুলেন্স ◈ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: কনকনে শীত উপেক্ষা করে সূর্যোদয়ের আগেই পূর্বাচলে মানুষের ঢল (ভিডিও) ◈ সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন নির্দেশনা হাইকোর্টের ◈ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ ◈ হঠাৎ করে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি বন্ধ, বিপাকে দরিদ্র মানুষেরা ◈ দেশে ফিরতে সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে তারেক রহমান (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:৫৯ সকাল
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অ‌স্ট্রেলিয়ান মি‌চেল স্টার্কের প্রশ্ন, ডিআরএস এর খরচ কেন আইসিসি দেয় না 

স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান অ্যাশেজ সিরিজে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে যে ধরণের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে, তা এড়াতে সব ম্যাচে একই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। একই সঙ্গে আইসিসি কেন এই প্রযুক্তির খরচ বহন করে না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এই পেসার।

অ্যাশেজ সিরিজ জুড়ে রিয়েল টাইম স্নিকো (আরটিএস) সংক্রান্ত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড উভয় দলই হতাশা প্রকাশ করেছে। রোববার অ্যাডিলেইডে শেষ হওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টে এই বিতর্ক ভিন্ন মাত্রা পায়। ----- অলআউট স্পোর্টস

প্রথম দিন অ্যালেক্স ক্যারির আউটের জন্য ইংল্যান্ড রিভিউ নিলেও স্নিকো অপারেটরের ভুলে আউটের সিদ্ধান্ত দিতে নিশ্চিত হতে পারেননি টিভি আম্পায়ার। ৭২ রানে সেই জীবন পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার পরে আউট হন ১০৬ রান করে। দিনের খেলা শেষে স্নিকো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিবিজি স্পোর্টস নিজেদের ভুল স্বীকার করে। দ্বিতীয় দিন সকালে ইংল্যান্ডকে রিভিউটি ফেরত দেন ম্যাচ রেফারি।

একই দিন জেইমি স্মিথের একটি ঘটনার পর স্টাম্প মাইক্রোফোনে স্টার্ককে বলতে শোনা যায়, “স্নিকোকে বরখাস্ত করা উচিত।” এরপর স্নিকোর আরেকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফেরেন স্মিথ।

সোমবার এক প্রতিবেদনে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানায়, এই যান্ত্রিক ভুলের জন্য ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ডিআরএস নিয়ে আইসিসির প্রোটোকল এবং সিস্টেম পর্যালোচনার জন্য তদ্বির করার পরিকল্পনা করছে। 

স্বাগতিক সম্প্রচারকদের কেন এই প্রযুক্তির খরচ মেটাতে হবে, সেই বিষয়টি আলোচনার একটি মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। স্টার্কের মতে, এই প্রক্রিয়াটি কেন্দ্রীয় হওয়া উচিত।

আমি নিশ্চিত যে এটি দর্শক, অফিশিয়াল এবং ব্রডকাস্টার – সবার জন্যই হতাশাজনক। একটি কথা আমি বলব... আমি এখানে কেবল নিজের হয়ে বলছি, অফিশিয়ালরা এটি ব্যবহার করে, তাই না? তাহলে আইসিসি কেন এর জন্য অর্থ প্রদান করে না? এবং কেন বোর্ডজুড়ে কেবল একটি সরবরাহকারী নেই? কেন আমরা সব সিরিজে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করি না, যা হয়তো বিভ্রান্তি এবং হতাশা কমাবে? আমি এখানেই শেষ করছি।

আইসিসির অনুমোদিত দুটি ‘এজ ডিটেকশন প্রযুক্তি’ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হলো – আরটিএস, যা অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহার করা হয় এবং আল্ট্রাএজ, যা অন্য দেশগুলোতে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়া সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং জানান, আম্পায়াররা আরটিএস-কে বিশ্বাস করতে পারেন না। তার মতে, আরটিএসের চেয়ে আল্ট্রাএজ উন্নত।

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এ বিষয়ে কূটনৈতিক মন্তব্য করলেও স্বীকার করেন, আরটিএস এবং আল্ট্রাএজ-এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশ লিগে আল্ট্রাএজ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সিরিজের মাঝপথে প্রযুক্তি পরিবর্তনের কোনো নিয়ম নেই থাকায় মেলবোর্ন ও সিডনিতে সিরিজের শেষ দুটি টেস্টেও আরটিএস ব্যবহার হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়