স্পোর্টস ডেস্ক : নারী বিশ্বকাপ কাবাডিতে টানা তিন ম্যাচ অসহায় আত্মসমর্পন করেছে জার্মানি। হেরেও তাদের খেলোয়াড়দের অবয়বে হাসি লেগেই আছে। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনও আসরে খেলতে এসে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি উপভোগও করছেন জার্মানির খেলোয়াড়রা। তাদের অন্যতম খেলোয়াড় এমা এটলের কথাতেই তা পরিস্কার।
সাধারণত কাবাডি দল হয়ে থাকে ১৪ সদস্যের। কিন্তু জার্মানি এসেছে ১০ জন নিয়ে! দলটিতে নানান পেশার খেলোয়াড় রয়েছেন। ডাক্তার,ছাত্রী ও চাকুরীজীবি। বিশ্বকাপ কাবাডির তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় পুরো দল নিয়ে ঢাকায় আসতে পারেনি জার্মানি। শেষ মুহূর্তে কয়েকজন দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়। এছাড়া আরও একটি বিষয় রয়েছে।
এক বছরও হয়নি জার্মানি নারী কাবাডিতে নাম লিখিয়েছে। এখনও তাদের খেলাটি সৌখিনতার পরযায়ে আছে। স্টুটবার্গ ও নুরেমবার্গে মাত্র কাবাডির চর্চা হয়। সবমিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন নারী খেলোয়াড় আছেন।
সপ্তাহান্তে খেলোয়াড়রা এক হয়ে কাবাডির চর্চা করে থাকেন। দলটির কেউ কেউ আবার একাধিক খেলা খেলে থাকেন। বক্সিং,রাগবি ও ফুটবল অন্যতম।
বর্তমান দলটির কোচ একজন ভারতীয়।
ঢাকায় জার্মানির জন্য ম্যাচ জেতা কঠিন হবে, দলের অন্যতম খেলোয়াড় এমা এটলে তা আগে থেকেই জানতো। তাই পুরো টুর্নামেন্টটি সবাই মিলে বেশ উপভোগ করছেন। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে খেলা শেষে এক ফাঁকে স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী এমা জানালেন,‘আমরা এই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে এসেছি। শুধু তাই নয়,প্রতিযোগিতামূলক খেলাতেও প্রথম আসলাম।
এর আগে শুধু আমাদের প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছি। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো দল। সেই ম্যাচগুলোর ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে।’
জার্মানি তিনটি ম্যাচেই আত্মসমর্পন করেছে। ম্যাচে কোনও সময় তারা রেইড করতে এসে হাসছে। আবার প্রতিপক্ষ কীভাবে খেলছে তা অবাক চোখে দেখছে। এমনকি খেলার আইন কানুনও শেখার পরযায়ে তারা।
এমা বললেন,‘আমরা এক বছরও হয়নি কাবাডি শিখছি। এখনও সেই পরযায়ে শিখে উঠতে পারিনি। তাই এখানে অনেক কিছু শিখছি। বলতে পারেন খেলার নিয়ম কানুনও। আর একটি কথা বলে রাখি বলতে পারেন বাংলাদেশে এসেছি কাবাডি উপভোগ করতে।’
কাবাডি তাদরে জীবিকার উৎস নয়। সৌখিনতার বশে শুধু খেলছেন। তবে স্বপ্ন দেখেন হয়তো সামনের কয়েক বছর পর তাদের ওখানে প্রো কাবাডি হবে।
খেলার মধ্যে পেশাদ্বারিত্ব আসবে। এমা আশাবাদী কন্ঠে বললেন,‘ আমরা তো শুরু করলাম বেশি দিন হয়নি। এখন ৩০-৪০ জন খেলোয়াড় আছে। মাত্র দুটি শহরে কাবাডির কিছু প্রচলন হচ্ছে। সামনের দিকে হয়তো একসময় পুরো জার্মানি জুড়ে কাবাডির চর্চা হবে। আমরাও একসময় আমাদের দেশে প্রো কাবাডির আয়োজন করতে পারবো। আমাদের মেয়েরা খেলবে।
আমরা সবাই পেশাদার হবো। বাংলাদেশে এসে আতিথিয়েতা পেয়ে খুশি সবাই। এখানকার অভিজ্ঞতা নিজ দেশে কাজে লাগিয়ে জনপ্রিয় করতে চাইছেন এমা ও তার সতীর্থরা।
সূত্র: বি কে এফ