স্পোর্টস ডেস্ক : মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান কোয়ালিফায়ারে ডেনমার্ককে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে স্কটল্যান্ড। স্কট ম্যাকটমিনে, লরেন্স শ্যাঙ্কল্যান্ড, কিয়েরান টিয়ের্নি এবং কেনি ম্যাকলিন স্কটল্যান্ডের পক্ষে গোলগুলো করেন। ডেনমার্কের গোল দুটি করেন রাসমুস হয়লুন্দ এবং প্যাট্রিক দরগু।
১৯৯৮ সালে শেষবার বিশ্বকাপ খেলেছিল স্কটল্যান্ড। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরল স্কটিশরা। স্টিভ ক্লার্ক, অ্যান্ডি রবার্টসন, স্কট ম্যাকটমিনে, কিয়ারান টিয়ের্নি, জন ম্যাকগিনদের সোনালী প্রজন্ম অবশেষে স্কটিশদের বিশ্বকাপের মঞ্চে জায়গা করে দিল।
অনেক বছরের হতাশা ঝেরে ফেলে বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছার আনন্দে ততক্ষণে হ্যাম্পডেন পার্কে স্কটিশদের উল্লাসে কান পাতা দায়। অন্যদিকে ১০ জন নিয়ে লড়াই করা ডেনমার্কের খেলোয়াড়রা অবিশ্বাস্য পরাজয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আগামী গ্রীষ্মের ফুটবল উৎসবে ডেনমার্কের অংশগ্রহণ এখন নির্ভর করছে মার্চের প্লে-অফের ওপর। -- সময়নিউজ
এই ম্যাচে বেশ কয়েকবারই ছিটকে পড়ার মতো অবস্থায় ছিল স্কটল্যান্ড। গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) এথেন্সে পরাজয়ের পর অনেকেই তো আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
স্বপ্নের মতো রাতের শুরুটা অবশ্য স্কটল্যান্ডের জন্য কঠিন ছিল। ডিফেন্ডার জন সুটার ওয়ার্ম-আপেই চোট পান। তার জায়গায় নামেন গ্রান্ট হ্যানলি। কিন্তু খেলা শুরু হতেই তিন মিনিটের মধ্যে সব অস্থিরতা ভুলিয়ে দেয় স্কটল্যান্ড।
ডান দিক দিয়ে দারুণ দৌড় ও ড্রিবল করে বেন গ্যানন-ডোক ক্রস করলেন। গোলের বিপরীতে মুখ করে থাকা ম্যাকটমিনের জন্য ক্রসটা সহজ ছিল না। কিন্তু নাপোলির এই মিডফিল্ডার আকাশে লাফিয়ে এক অবিশ্বাস্য ওভারহেড কিকে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে, স্মেইকেলের ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবিশ্বাস্য গোলের বিহ্বলতা কাটিয়ে পুরো স্টেডিয়াম ফেটে পড়ে উল্লাসে।
কিন্তু মাত্র ২০ মিনিটেই বড় ধাক্কা—গ্যানন-ডোক ক্রস ব্লক করতে গিয়ে অতিরিক্ত টান পড়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন। হয়লুন্দ গোল করলেও অ্যারন হিকিকে ফাউল করার কারণে তা বাতিল হয়। এরপর ডেনমার্ক আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, কিন্তু বিরতির আগে স্কটল্যান্ড কোনোরকমে এগিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ডেনমার্ক আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্কটল্যান্ড মাঝেমধ্যে ডেনিশদের আটকালেও বারবার বল হারাচ্ছিল। ড্যানিশরা সমতায় ফেরে বিতর্কিত এক পেনাল্টিতে। প্রথমে রেফারি গুসটাভ ইসাকসেনের পড়ে যাওয়াকে ফাউল মনে করেননি। দেখে মনে হচ্ছিল ইসাকসেন নিজেই লাফিয়ে পড়ে। কিন্তু ভিএআরের পর পেনাল্টি দেওয়া হয়। হয়লুন্দ বল জালে পাঠান।