স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছিলো এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ওভারে বাংলাদেশের রান শূন্য। নুয়ান থুসারা ও দুশমন্থ চামিরাকে মেইডেন দেয়ার পাশাপাশি দুইটা উইকেটও হারায় টাইগারা। একটা সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৫৩ রান। এমন অবস্থা থেকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও জাকের আলী অনিকের জুটিতে ১৩৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য যে সেটা যথেষ্ট ছিল না পাথুম নিশাঙ্কা ও কামিল মিশারার ব্যাটিং দেখেই অনুমান করা গেছে। ৩২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানালেন, বাংলাদেশ এত বাজেভাবে হারবে সেটা তাঁর চিন্তায়ও আসেনি।
সবশেষ কয়েকটা ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ থাকলেও সেটা লুফে নেয়নি বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডস সিরিজ চলাকালীনই প্রশ্ন উঠেছিল তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা হওয়ার পরও কেন আগে ব্যাটিং নেয়া হচ্ছে না। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেও একই প্রশ্ন ছিল। টানা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করায় বেশিরভাগ ব্যাটারই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে ব্যাটারদের প্রস্তুতি কতটা হচ্ছে সেটা নিয়েও কথা হয়েছে।
যদিও অধিনায়ক কিংবা কোচ এসব আলোচনা কাছেই চাপতে দেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামতেই সব প্রস্তুতি যেন বিলীন হয়ে গেল। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই ফিরে গেলেন তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন। পাওয়ার প্লে শেষের আগে ফিরেছেন তাওহীদ হৃদয়ও। একটু পর আউট হয়েছেন লিটন দাস, শেখ মেহেদীও। যার ফলে মাত্র ৫৩ রান করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
শামীম ও জাকেরের অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে সম্মান বাঁচলেও ম্যাচ জেতার মতো কিছু হয়নি। ব্যাটারদের মতো বোলারদের বাজে পারফরম্যান্স কাজে লাগিয়ে নিশাঙ্কা ও মিশারার ব্যাটে সহজ জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। মাস দুয়েক আগেই শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ জিতে আসা বাংলাদেশের ম্যাচের কোনো অংশেই লড়াই করতে পারেননি। নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যাওয়ার কাজটা কঠিন করে ফেলেছেন লিটন। বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ নান্নু।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘অবশ্যই, সবাই হতাশ এই ধরনের পারফরম্যান্সের কারণে। ব্যাটিং-বোলিং সবদিক দিয়েই আমরা আজকে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছি। আমার মনে হয় এতো বাজেভাবে আমরা হারবো এটা কখনো চিন্তায় আসেনি। এখান থেকে উত্তরণ খুবই কঠিন হয়ে গেছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভালো রান রেট করে এগোতে হবে। শ্রীলঙ্কার সাথে আজকের ম্যাচটা যথেষ্ট হতাশাজনক। আমরা সব বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছি।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম সাত ওভারে ফুলার লেংথে ৫ বল থেকে ৯ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবরা। গুড লেংথে করা ১৫ বল থেকে ৯ রান খরচা করে আদায় করেছেন একটি উইকেট। তবুও সবচেয়ে ১৬টা ডেলিভারি করেছেন শর্ট লেংথে। যেখান থেকে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান তুলেছেন নিশাঙ্কা, হমিশারা।
নান্নুও মনে করেন, বাংলাদেশ যেভাবে বোলিং করেছে সেটা হতাশাজনক। যদিও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান নির্বাচকের দাবি, পাওয়ার প্লেতে ম্যাচ নাগালের বাইরে চলে গেছে। নান্নু বলেন, ‘ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ম্যাচ আমাদের হাতে বাইরে চলে গেছে। আমরা শুরুতে উইকেট দিয়ে এসেছি। তারপর আবার ১৪০ রান বোর্ডে আসার পরও আমরা যেভাবে বোলিংটা করেছি এটা হতাশাজনক। এটা আশা করা যায় না। -- ক্রিকফ্রেঞ্জি