স্পোর্টস ডেস্ক : নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। সরকারের দুর্নীতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানে শুরু হয় আন্দোলন। দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের এলাকাসহ কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের ওপর।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশের। আগের দিন (সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টিম হোটেলেই ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর সোয়া ২টা নাগাদ হোটেলের লবিতে এসে বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার জানতে পারেন, আন্দোলনের কারণে বাইরে যেতে পারবেন না। স্টেডিয়ামটির আশে-পাশেই নাকি আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই দলের অনুশীলন বাতিল করা হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েসনের (আনফা) অফিসিয়ালরা জরুরি মিটিংয়ে বসেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাংলাদেশ-নেপালের ম্যাচটি মাঠে গড়াবে না।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নেপালের সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। সব মিলিয়ে সোমবার রাজপথে নেমে আসার ঘোষণা তারা আগেই দিয়ে রেখেছিল।
দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে হামজা-সমিতদের ছাড়াই নেপালে গেছে বাংলাদেশ দল। গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)। তবে আন্দোলন জোরালো হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এ ম্যাচটি বাতিল করেছে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েসন।