স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০০ সালের দিকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, মনোজ প্রভাকর ও অজয় জাদেজার মতো ক্রিকেটাররা।
একই প্রতিবেদনে প্রমাণ না পাওয়ায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন কপিল দেব। পরবর্তীতে সেই অভিযোগ নিয়ে বাড়তি কোনো তদন্ত করেনি কেউ। যোগরাজ সিংয়ের দাবি, কপিলের মতো কিংবদন্তিদের বাঁচাতেই জোর করে ফাইলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। --- ক্রিকফ্রেঞ্জি
১৯৯৭ সালের প্রভাকর দাবি করেছিলেন, খারাপ খেলার জন্য কপিল তাকে টাকা অফার করেছিলেন। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা—সিবিআই। বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেটও (বিসিসিআই) চন্দ্রচূড় নামে একটি কমিটি গঠন করে। লম্বা সময়ের তদন্ত শেষে ২০০০ সালে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা।
প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয় মনোজ প্রভাকর কেন ৩-৬ বছর পর ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুললেন। সেটার যৌক্তিকতা নেই বলেও দাবি করে না। ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন হ্যান্সি ক্রনিয়ে ও সেলিম মালিক। তাদের দুজনের সঙ্গে ছিলেন ভারতের আজহারউদ্দিন, প্রভাকর, অজয় জাদেজাও। অজয় জাদেজা ও নয়ন মোঙ্গিয়ার সহায়তায় ম্যাচ পাতিয়েছিলেন আজহারউদ্দিন।
যদিও সেই প্রতিবেদনের কোথায় কপিলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রমাণ না পেলেও ভারতের কোচের চাকরি ছেড়েছিলেন ১৯৮৩ সালে ভারতকে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। দুই যুগের বেশি সময় পর পুরনো বিষয়টি আবারও সামনে এনেছেন যোগরাজ। ভারতের হয়ে একটি টেস্ট ও ছয়টি ওয়ানডে খেলা সাবেক এই ক্রিকেটারের দাবি, কপিলের মতো আরও অনেক কিংবদন্তিতে বাঁচিয়ে দিতেই তদন্ত বন্ধ করে বিসিসিআই।
পুনরায় কেন সেটি চালু করা হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি ইনসাইডস্পোর্টের সঙ্গে আলাপকালে যোগরাজ বলেন, ‘সব সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করুন, সুপ্রিম কোর্টে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পড়ে থাকা ফাইলটা কেন বন্ধ করে দেয়া হলো।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে কারা কারা জড়িত ছিল? প্রথমে কপিল দেব এসবের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারপর আজহারউদ্দিনসহ আরও অনেকের নাম এসেছিল। সেটা কেন বন্ধ করা হলো এবং পুনরায় খোলা হলো না? কারণ এতে অনেক কিংবদন্তির নাম জড়াবে।
যোগরাজ এবারই প্রথম কপিলকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করলেন এমন নয়। কদিন আগেই ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার দাবি করেন, কপিল খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করতেন। এমনকি গত বছর যোগরাজ এও জানান, দল থেকে বাদ পড়ার পর ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কন তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন।