স্পোর্টস ডেস্ক : একি কাণ্ড! সাপে বর, না বরের পাতে সাপ! ছয় বছর আগের ঘটনা হঠাৎ প্রকাশ্যে এল। যা শুনে চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য। বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা পাওয়ার কাপল। তাঁদের কোটি কোটি ফলোয়ার রয়েছে। --- আজকাল
কোহলি যেখানেই খেলুক না কেন, হাজির অনুষ্কা। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধে সেলিব্রিটি কাপল। তাঁদের বিয়ের ভিডিও নিয়ে তখন কম চর্চা হয়নি। বিয়ের সাত বছর কেটে যাওয়ার পরও তাঁদের নিয়ে উৎসাহের কোনও খামতি নেই।
তারা যখন এত স্পেশাল, নিঃসন্দেহে তাঁদের বিবাহবার্ষিকীও বিশেষ। বিরুষ্কার দ্বিতীয় বিয়ের জন্মদিনের এক অদ্ভুত ঘটনা উঠে এল এতদিন পর।
ছয় বছর আগের ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন সেলিব্রিটি শেফ হর্ষ দীক্ষিত। ২০১৯ সালে বিরুষ্কাকে বিশেষ কিছু খাওয়ানোর সুযোগ হয়েছিল তাঁর। তাও আবার পাওয়ার কাপেলের বিবাহবার্ষিকীতে। ভিয়েতনামের খাবারে কী কারচুপি করেছিলেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন একটি সাক্ষাৎকারে। সেই দেশের বিখ্যাত খাবার ফো। তাতে সাধারণত চিকেন এবং বিফ থাকে। কিন্তু কোহলি নিরামিষাশী। তাই মাথা থেকে বুদ্ধি বের করেন তিনি।
ভিয়েতনামের খাবারে স্নেক ওয়াইন, স্নেক মিট স্বাভাবিক। তাই কোহলিদের পাতে সাপ তুলে দেন সেলিব্রিটি শেফ। ঠিক কী করেছিলেন তিনি, তার ব্যাখ্যা দেন। হর্ষ দীক্ষিত বলেন, 'সবকিছু আকর্ষণীয় রাখতে হয়।
২০১৯ ডিসেম্বরে বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মার বিবাহবার্ষিকীতে আমি ফো বানিয়েছিলাম। তবে তাতে টুইস্ট ছিল। ব্রথে চিকেন এবং বিফ থাকে। তবে ওরা তখন গ্লুটেন ফ্রি খাবার খাচ্ছিল। তাই আমি রাইস নুডলস করি। যা ওখানকার ট্র্যাডিশনাল খাবার।
ভিয়েতনামের খাবারে সাধারণত প্রচুর সাপ থাকে। স্নেক ওয়াইন, স্নেক মিট স্বাভাবিক। তাই ভাবলাম নিরামিষাশীদের সাপ খাওয়াবো। লাউ সাপ বানাই। তাতে বাদাম, নারকেল, টফু, ধনেপাতা ছিল। এছাড়াও চেস্টনাট, মাশরুম, লঙ্কা ছিল।
সবকিছু লেমনগ্রাস, আদা, ধনেপাতার ঝোলে ছিল। আলাদা করে চিলি অয়েল দেওয়া হয়েছিল। ডায়েট বজায় রেখে মজা করাই লক্ষ্য ছিল। এটাই প্রাইভেট রাঁধুনির কাজ।' তবে এই ভিয়েতনামী খাবার কি আদৌ খেয়েছিলেন কোহলি? সেই বিষয়ে কিছু জানাননি সেলিব্রিটি শেফ।
বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন দুই মহাতারকা। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে তাঁদের দেখা যাবে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ।
এরপর আর চলতি বছর কিছু নেই। পরের বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছ'টি একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে রো-কো জুটি। তবে ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনের বিশ্বকাপের জন্য কি এই প্রস্তুতি যথেষ্ঠ? বোর্ডের এক সূত্র জানান, 'এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখনও বিশ্বকাপের দু'বছর বাকি।
দু'জনেরই ততদিনে প্রায় ৪০ হয়ে যাবে। তাই পরিকল্পনামাফিক এগোতে হবে। তারমধ্যে কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারকেও দেখে নিতে হবে।' অর্থাৎ, বিরাট এবং রোহিত ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। সবটাই নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর, এবং বোর্ড কী চায় তার ওপর।