এম এ কুদ্দুস, বিরল (দিনাজপুর): উত্তরের সর্ববৃহৎ ধর্মপুর শালবন এখন বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ পলাশি লতার কারুকার্যে নতুন রূপে সেজেছে। গাছের ডালে ডালে ঝুলে থাকা এই লতা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
প্রায় তিন হাজার একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই শালবনটি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ধর্মপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। বনজ, ফলোজ ও ঔষধি গাছের সমারোহ—শাল, সেগুন, আকাশমুনি, দেবদারু, নলবাঁশ, বেত, খুদে খেজুরসহ অসংখ্য প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে। এছাড়াও রয়েছে নানা প্রজাতির ছোট-বড় প্রাণী। কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে শালবনটি ভারতের কুশোমুন্ডি পর্যন্ত বিস্তৃত।
ধর্মপুর ফরেস্ট বিট কর্মকর্তা মহসিন আলী জানান, শালবনটি জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা হলেও কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি—এটি যেন পূর্ণাঙ্গ জাতীয় উদ্যানে রূপ নেয়। পলাশি লতা স্থানীয়ভাবে ‘বান্ধানা’ বা ‘শাল লতা’ নামে পরিচিত, আর ভারতে একে বলা হয় ‘হাতি বান্ধা লতা’। দীর্ঘদিন ধরে বনজুড়ে থাকলেও সম্প্রতি এর মোটা কাণ্ড ও অদ্ভুত কারুকার্য মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে।
দর্শনার্থী মতিউর রহমান বলেন, “শালবনের গাছে গাছে পলাশি লতার শোভা এক অন্যরকম অনুভূতি জাগায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এখানে বারবার আসতে ইচ্ছে করে।”