স্পোর্টস ডেস্ক : ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তবে বাইসেপস টেন্ডনের চোটে ওভাল টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। মাইকেল ভন মনে করেন, ইংলিশ এই অলরাউন্ডার যদি থাকতো তাহলে সিরিজের শেষ টেস্টেও জিততো ইংল্যান্ড। -- ক্রিকফ্রেঞ্জি
ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম ইনিংসে ২৪ ওভারে ৭২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন স্টোকস। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেছিলেন ১৪১ রানের ইনিংস। বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য খুব বেশি কিছু করতে পারেননি তিনি। ১১ ওভারে৩৩ রান নিয়ে ডানহাতি পেসারের শিকার এক উইকেট। তবে ওই সময় বোলিং করার আগে কাঁধে অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি।
যার ফলে বাকিটা সময়ে আর বোলিং করেননি স্টোকস। পুরো সিরিজ জুড়ে আলো ছড়িয়ে ১৭ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৩০৪ রানও করেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। তবে চোটের কারণে ওভালে খেলতে পারেননি তিনি। স্টোকস না থাকার ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াইয়ে ৬ রানে ম্যাচ জিতে ভারত। পঞ্চম দিনের সকালে হাতে ৪ উইকেট থাকার পরও ৩৫ রান করতে পারেনি ইংলিশরা।
এমনকি কাঁধে চোট পাওয়া ক্রিস ওকসকেও নামতে হয়েছিল ব্যাটিংয়ে। ভন মনে করেন, এমন ম্যাচে যদি স্টোকস থাকতো তাহলে ইংল্যান্ড জিততো। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মানসিকতার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভন বলেন, ‘আজ (৪ জুলাই) সকালে বেন স্টোকস যদি দলে থাকতো তাহলে ইংল্যান্ড এই টেস্ট ম্যাচটা জিততো। দলের মধ্যে সে বিশাল বড় একটা ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে মানসিকতায়।
শেষ দিনে ইংল্যান্ডের যখন ৩৫ রান দরকার তখন ব্যাটিংয়ে ছিলেন জেমি স্মিথ ও জেমি ওভারটন। ব্যাটিংয়ে এসেই প্রসিধকে এক ওভারে দুই চার মেরে সমীকরণ সহজ করে আনেন ওভারটন। যদিও একটু পর স্মিথ ফিরে গিয়ে ইংল্যান্ডের চাপ বাড়িয়েছেন। দ্রুতই আউট হয়েছেন ওভারটনও। জশ টাং সুবিধা করতে না পারায় সব দায়িত্ব এসে পড়ে গাস অ্যাটকিনসনের কাঁধে।
এক হাতে ব্যাটিং করতে আসা ওকসকে নিয়ে চেষ্টা করলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি অ্যাটকিনসন। ভন মনে করেন, আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কারণেই হেরেছে ইংল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘সকালে ব্যাটিংয়ে গিয়েই ইংল্যান্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের কেবল একটা জুটির প্রয়োজন ছিল। তারা যেভাবে খেলে সেটা করতে গিয়েই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েচে। তারা প্রচুর আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলেছে।