শাহীন খন্দকার: [১] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় সংসদ নেতা জি এম কাদের বলেছেন, পিলখানা হত্যা দিবসটির গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এটা আমরা আশা করছি। সেই সঙ্গে দিবসটির গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে।
[২] রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
[৩] তিনি পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেছেন, শোকাবহ এই দিবসটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। বিরোধীদলীয় এই নেতা বলেন, আগে সাধারণ মানুষের মাঝে যেটুকু আগ্রহ ছিলো, এখন তা কমে যাচ্ছে। এই শোকাবহ দিনটি শুধু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
[৪] তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অনেক দায়িত্ব ছিলো, শুধু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছেই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ হবার কথা ছিলো না। পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ কর্নেল কুদরত-ই-এলাহী আমার ভাগ্নে। জি এম কাদের বলেন, এতগুলো মেধাবী সেনাকর্মকর্তা হত্যার ঘটনা এত কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
[৫] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা চিরজীবি করতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন দেশের মানুষ তাদের স্মরণে রাখবে এটাই আমরা চাই।
[৬] ১৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু বিচারকার্য শেষ হয়নি সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, জনগণের আগ্রহ কমে গেছে, জনগণ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোন জিনিস এগিয়ে নিতে সরকার একটা বড় বাহন।
[৬] পিলখানা হত্যাকান্ডের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ করতে সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। বিচার কার্য চলছে, বিচার হলেই আমরা বুঝতে পারবো ন্যায় বিচার হয়েছে কিনা। বিচারাধীন এই বিষয়ে এখন কথা বলা ঠিক হবে না।
[৭] এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :