রিয়াদ হাসান: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে অতীতের অর্জন ও ভবিষ্যতের সুখ স্বপ্নের প্রতিফলন থাকলেও, বর্তমানের দুঃস্বপ্ন মোচন করার বিশেষ কোনো কথা নেই বলে মনে করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
শুক্রবার (২ মে) দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় তারা। সূত্র: কালবেলা
প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় দলটি বলছে, বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতকে ধরে রাখার কথা থাকলেও তা কীভাবে ৯.২৪ থেকে নামিয়ে আনা হবে তার কৌশল তুলে ধরা হয়নি। এ ছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্পর্কে বাজেট নিশ্চুপ। লাগামহীন আয় ও সম্পদ বৈষম্য কমিয়ে আনা, ঋণখেলাপি হ্রাস, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ করা ও বিশেষ করে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার কৌশল বাজেটে পরিলক্ষিত হয়নি।
১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, অর্থনীতির মূল খাতগুলো যথা কৃষি, জ্বালানি, পরিবহন প্রভৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও ভর্তুকি হ্রাস করার সিদ্ধান্তের দায়ভার জনগণের ওপর বর্তাবে।
বিবৃতিতে তারা জানায়, আইএমএফের শর্ত মানতে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলেও তা নিতান্তই প্রান্তিক।
বিবৃতিতে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, এ পেনশন স্কিমে যদি দিনমজুর-গ্রামীণ শ্রমজীবীদের চাঁদা দিতে হয় তবে তারা কখনোই পারবে না। ফলে এ স্কিমের সার্বজনীনতা ক্ষুণ্ন হবে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
আরএইচ/এসএইচবি/এসবি২