শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর, ২০২২, ০৫:১২ বিকাল
আপডেট : ০৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমরা ইভিএমে নির্বাচন চাই না: চুন্নু

মুজিবুল হক চুন্নু

শাহীন খন্দকার: জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো.মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ইভিএম ফল উল্টে দেওয়ার মতো একটা মেশিন বলে পাবলিক পারসেপশন রয়েছে। তিনি বলেন, মেশিনের দোষ নেই, মেশিন যারা চালায় তাদের দোষ। কাজেই ইভিএমে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের সবসময়ই আপত্তি। আমরা ইভিএমে নির্বাচন চাই না। আপত্তি সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধরে রাখার জন্য এই উপ-নির্বাচনে গেলাম। আগামী নির্বাচনে কি করবো সেটা পরিস্থিতির ওপর সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, আমরা ভোট বর্জনের রাজনীতি করি না। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সরাসরি নজরদারি দেখছি না এই কারণে যে, আমাদের প্রার্থীকে অপমান করা হয়েছে। প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। থানা মামলা নেয়নি। সেখানে জিডি করা হয়েছে।

মুজিবুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে সরাসরি হস্তক্ষেপ আমরা দেখছি না। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সাংগঠনিক কার্যক্রম করবে এটার ইনটেনশন হলো নির্বাচনে ভোট চাওয়ার জন্য। চুন্নু বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আমাদের বলেছেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যে কমিশন সভায় তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা আমাদের বলেছে, তারা আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে খুবই অনড় ও শক্ত অবস্থানে আছে।

তিনি আরও বলেন, সিইসি বলেছেন, এখন পর্যন্ত সংসদের উপনির্বাচনে সিসিটিভি ব্যবহার করার কথা রয়েছে। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিসি টিভি ব্যবহারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী কমিশন সভায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিসি টিভির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন শতভাগ ফেয়ার হয়েছে বলে কেউ বলতে পারবে না। যখন যেই দল নির্বাচনে জিতে তখন তারা বলে নির্বাচন ফেয়ার হয়েছে এবং বাকিরা বলে নির্বাচন ফেয়ার হয়নি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও নির্বাচন ফেয়ার হয় না।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির কক্ষে এই সাক্ষাৎ করে।

জাপা মহাসচিব বলেন, যদিও আমরা ইভিএমের নির্বাচনের পক্ষে না। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনটা ইভিএমে হবে। কিন্তু আমাদের জাতীয় পার্টির কালচার আছে আমরা নির্বাচন বর্জন করি না। নির্বাচন বর্জন করাকে আমরা মনে করি গণতন্ত্রকে ব্যাহত করবে। তাই আমরা প্রতিবাদ হিসেবে সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। সেই নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এসেছিলাম।

ইভিএমের ভোটে সিসিটিভি থাকবে কি না সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভিএমে নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করছি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে। যদিও আমরা নীতিগতভাবে ইভিএমের নির্বাচনের বিরুদ্ধে। তারপরও আমরা বলছি এই নির্বাচনটা যদি ফেয়ার করতে পারেন। মানুষের কিছুটা আস্থা আসতে পারে। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে কি কি পদক্ষেপ নেবেন সেই বিষয়ে আমরা তাদের বলেছি। তারাও আমাদের বলেছে।

উল্লেখ্য, সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গত ২৪ জুলাই গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসন শূন্য হয়। আগামী ১২ অক্টোবর এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা পরিষদ ভোটের প্রসঙ্গ টেনে চুন্নু বলেন, গাইবান্ধা জেলা পরিষদে অনেক এমপি তাদের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা করছেন। নির্বাচন কাজে বাধা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের লোকেরা আমাদের প্রার্থীদের গাড়ি ভাংচুর করেছে। এগুলো নিরসন করার জন্য এবং জেলা পরিষদ ভোটে সব কেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবস্থা করার কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং গাইবান্ধা ৫ উপনির্বিচনে ইভিএমে ভোটে দেখতে চাই। উল্লেখ্য, দেশের ৬১ জেলায় ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, সংরক্ষিত পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন এবং তিন পদে সব মিলিয়ে ১১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়