শিরোনাম
◈ টি-টোয়েন্টির বিধ্বংসী ওপেনার আমিরা‌তের ওয়া‌সিম‌কে দলে নি‌লো রাজশাহী ওয়া‌রিয়র্স ◈ ৪৪ গোল কর‌লেই হাজারের মাইলফলক, তার প‌রেই মাঠ ছাড়‌বেন রোনালদো  ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ◈ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো আজ জকসু নির্বাচন ◈ খালেদা জিয়ার জীবনাবসান: তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ রাজনৈতিক অধ্যায়ের ইতি ◈ রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আগামীকাল খালেদা জিয়ার জানাজা: সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ চাপ, ষড়যন্ত্র ও আন্দোলনের মধ্যেও আপসহীন খালেদা জিয়া ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই ◈ জরুরি বার্তা পেয়ে ঢাকায় দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ◈ নতুন কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়ল ইনকিলাব মঞ্চ

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪৪ সকাল
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : আর রিয়াজ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকাল সোয়া সাতটার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুর সময় খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে ছিলেন তার জ্যেষ্ঠ ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় হাসপাতালে আরও উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলী রহমান সিঁথি।

স্বজনদের মধ্যে ছোট ভাই শামীম এসকান্দার ও তার স্ত্রী, বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও শেষ সময়ে হাসপাতালে ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার জানাজার সময়সূচি ও দাফনের বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবচেয়ে সংকটময় সময় অতিক্রান্ত করছেন বলে জানান তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি গত পরশুদিন আপনাদেরকে বলেছিলাম উনি (খালেদা জিয়া) উনার সবচেয়ে সংকটময় সময় অতিক্রান্ত করছে এবং সময় বলে দিবে উনি (খালেদা জিয়া) কতটুকু সেই সময় বা সংকট কতটুকু কাটিয়ে উঠতে পারবেন।’

গত খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ডা: জাহিদ গত শুক্রবারই জানিয়েছিলেন যে, খালেদা জিয়া তার সবচেয়ে সংকটময় সময় অতিক্রম করছেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংকটের এই সময়ে তার ছেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার সহধর্মিণী ডা: জুবাইদা রহমান, অপর ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী সৈয়দা শামিলা রহমান এবং খালেদা জিয়ার ছোট ভাই, বড় বোনসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিলেন। অনেকে এখনো হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

তিনি মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের নাম উল্লেখ করেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ডা: শাহাবুদ্দিন তালুকদার, প্রফেসর ডা: এফ এম সিদ্দিকী, প্রফেসর ডা: নুরুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা: জিয়াউল হক, প্রফেসর ডা: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম, এ জেড এম সালেহ, ডা: জাফর ইকবাল, ডা: মাসুম কামাল, প্রফেসর কে এম মহসিন ও প্রফেসর কে এম রেজা।

তিনি আরো বলেন, দেশের বাইরে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রফেসর ডা: পেট্রিক টেনেরি, প্রফেসর ডা: জেনিফার ক্রস, প্রফেসর ডা: রিচার্ড, ডা: মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ডা: রফিকউদ্দিন আহমেদ, জন হ্যামিল্টন, হামিদ রবসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা ভার্চুয়ালি পরামর্শ দিচ্ছেন।

ডা: জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সকালে (সোমবার) মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক হয়েছে। এই অবস্থায় উনি অত্যন্ত একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছেন। কাজেই এই অবস্থায় উনার (খালেদা জিয়ার) পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসারত বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তার ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। সোমবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তারা হাসপাতালে পৌঁছান।

গত বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ফেরার পর তারেক রহমান নিয়মিত তাকে মাকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন।

সোমবার সকাল, বিকেল ও রাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা: জুবাইদা রহমান। এ ছাড়া আজ হাসপাতালে গিয়েছেন খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে জাহিয়া রহমান।

পরে রাত ১০টা ২৩ মিনিটে হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছিল। 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে ছিল ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা। তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছিল। 

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এমন পরিস্থিতিতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আকাশযাত্রার উপযোগী না হওয়ায় দেশেই তার চিকিৎসা চলছিল। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়