স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির হোতা হিসেবে পরিচিত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক, ২০১৬ সালের পানামা পেপারসেও তার নাম উঠে এসেছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির হোতা হিসেবে পরিচিত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের অনুমোদিত মামলার অভিযোগে বলা হয়, আলোচিত এই ঠিকাদার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাত থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদকের মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্রে জানা যায়, জমি ক্রয়, প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণে মিঠু মোট ১৮ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া গাড়ি ক্রয়, ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ার ও বিনিয়োগ মিলিয়ে আরো ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার নামে। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এছাড়া পারিবারিক ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে আরো ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ ও ব্যয় মিলিয়ে মোট সম্পদের হিসাব দাঁড়িয়েছে প্রায় প্রায় ১৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অথচ বৈধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে মাত্র ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ফলে অবৈধ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রকাশিত বহুল আলোচিত পানামা পেপারসে মিঠুর নাম উঠে আসে। অভিযোগ রয়েছে, তার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ভুয়া সরবরাহ ও উন্নয়ন কাজের আড়ালে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।