শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউ রাষ্ট্রদূত ◈ জাকসু নির্বাচনে কারসাজি, এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক ◈ হ্যান্ডশেক না করায় ভারতীয়দের উপর চটলেন পা‌কিস্তা‌নের শোয়েব আখতার ◈ ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ◈ বড় সুখবর ছুটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ◈ ফরিদপুরে মহাসড়কে হঠাৎ বিক্ষোভ, যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ  ◈ নিলামে আরও ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা ◈ বাংলা‌দে‌শের দুই আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সফল ◈ ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা গুট্টা এক‌টি হাসপাতা‌লে ৩০ লিটার স্তন্যদুগ্ধ দান করলেন

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল,আমি আসলে মাঝে মাঝে একটু ইমোশনাল হয়ে পড়ি

মনিরুল ইসলাম: আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে  জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই- আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার কথা ভারি হয়ে আসে। অনুষ্ঠানস্থলে এক নিরবতার পরিবেশ তৈরি হয়। উপস্থিত সবার মির্জা  ফখরুলের আবেগময় বক্তব্য শুনেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,  আজকে এখানে একজন মা তার ছেলে ছবি দেখালেন যে শহীদ হয়ে গেছে। আরেকটা ছোট ছেলে গতকাল আশুলিয়ার অনুষ্ঠানে আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছে, ওর বয়স ৬/৭ বছর হবে। আমার মাথাটা না খুলিটা নেই। খুলিটা প্লাস্টিকের। অর্থাৎ  গুলিতে তার মাথার খুলি চলে গিয়েছিলো।পরে ডাক্তার সাহেবরা সেটাকে প্লাস্টিক দিয়ে আর্টিফিশিয়াল খুলি তৈরি করে লাগিয়ে দিয়েছে। এর চেয়ে বড় ত্যাগ আর কি হতে পারে?।

এসময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আসলে মাঝে মাঝে একটু ইমোশনাল হয়ে পড়ি। এটার প্রাইস যেটা আমরা পে করেছিএটা যদি সঠিকভাবে করতে না পারি তাহলে ওই শিশুদের সামনে, আমার বোনের সামনে, মায়েরসামনে তাহলে আমরা জাতির সঙ্গে নিঃসন্দেহে একটা বড় প্রতারণা করব। আমি আশা করব সেইপথে আমাদের যেতে হবে না। নিসন্দেহে  আমরা সামনের দিকে একটা সুন্দর বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।

তিনি স্মৃতিচারণ করে ২০১৪ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের একদিন অবরুদ্ধ থাকার পর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আমার অভিজ্ঞতাজানতে চেয়েছিলেন,সেই অভিজ্ঞতা আমি আর বর্ণনা করতে চাই না। কারণ সেটা আমার জন্যে সুখের নয়, আনন্দের নয়। তবে এটাকে ওইসময়ে স্বাভাবিক মনে করেছি।

যখন আমি ক্লাবের গেইটের বাইরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোহার বড় বড় হাতুড়ি দিয়ে গাড়িটাকে পেটানো শুরু হলো আমার তখন ওই মুহুর্তে মনে হয়েছিলো যে, আর বোধহয় জীবন্ত অবস্থায় আমি ফিরে যেতে পারব না।

যাই হোকে ফিরে এসেছি…. আপনাদের সামনে কথা বলছি। আমরা যারা গুটিকতক সৌভাগ্যবান যারা এখনো আমরা বেঁচে আছি, আপনাদের সাথে বলার সুযোগ পাচ্ছি আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এই যে বোন কথা বললেন, উনার কান্না কি করে বন্ধ করতে পারি, উনি যে শিশুটির ছবি দেখালেন যে শহীদ হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়