মনিরুল ইসলাম : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘ আজকে আমাদের রাজনৈতিক এই অবস্থার মধ্য থেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ইনশাল্লাহ এটাকে আমরা রোধ করব। যাতে এদেশে একটা সহজ-সরল গণতন্ত্র আসে এবং আমরা ভোট দিতে পারি।
আামি বলছি না বিএনপিকে জয়যুক্ত করেন। আমরাই ক্ষমতায় যাবো এরকম কথা আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও বলেননি, আমরা বলছি না। কথা হলো যে, আমরা ভালো একটা নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের পরে দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এক সঙ্গে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ আমার এলাকায় দিয়ে বেশ কিছু মিছিল গেছে। বহুদিন ১৬/১৭ বছর মিছিলের আওয়াজ তো পাই না।আমার বাড়ি রাস্তার(শাহজাহানপুর) পাশে… ভালো লাগে দেখি না ক্যাডা যায়। তো খবর নিলাম ওখানে আওয়ামী লীগের ভালো ভালো লোকজন যাচ্ছে। আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন, নাও করতে পারেন।
কথা বলা দরকার বলে দিলাম। গতকাল দেখলাম আরেকটা দলের পদযাত্রার কর্মসূচি ওখানেও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে দেখা গেছে…পেপারে ছবি আসছে…আমার বক্তব্য না ভাই। আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলব, আবার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে মাথায় নাচবো, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াব এটা তো হতে দেয়া যায় না।
অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, বিএনপির জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী, সদস্য সচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাথার সভাপতি আবু হোরায়রা, গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ইমতিয়াজ আহমেদ আবির, সাজ্জাদ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন সজলের স্বজনবৃন্দ, গণঅভ্যুত্থানে আহত আল মিরাজসহ অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।