শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:১৪ বিকাল
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

'মন্দিরের লোক পালাবে কেন?' বাংলাদেশে দশটা হিন্দু মরলে ওনাদের লাভ : গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

হিন্দুদের বিরুদ্ধে কেউই না । গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটা সৌহার্দ্যময় পরিবেশ বজায় আছে । ধর্মীয়ভাবে কোন বিভাজন নাই, সাম্প্রদায়িক কোন বিভাজন নাই । সমস্যাটা মূলতই হচ্ছে রাজনৈতিক এবং সবচাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে যে এই যে আমরা হিন্দু সম্প্রদায় আমাদেরকে প্রথম ব্ল্যাকমেইল করেছে ১৯৫৪ সালে আওয়ামী লীগ যেদিন জন্ম হয়েছে সেইদিন । সেইদিন থেকে এখনো পর্যন্ত আমাদের আমাদেরও দুর্বলতা আছে । হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষকে মাসহারা দিয়ে বেতন দিয়ে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে সমগ্র হিন্দু সমাজকে তারা ব্ল্যাকমেইল করে কিন্তু কিছু হিন্দু সমাজ সেটা যেন বুঝতে না পারে সেই ব্যবস্থাটা করেছে । 

পাঁচ তারিখের পরে যে ঘটনাটা এই বর্তমান যে সরকার এটা বাংলাদেশের সকল মানে শুধু হিন্দু না সকল মানুষের চাওয়া-পাওয়ার একটা সরকার। সেই সরকার মানে একটা দজ্জাল এবং কি স্বৈরাচার সেই সরকারকে হটানোর জন্য হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই মিলেই হটিয়েছে। এটা অনেকেই বলছে এটা হচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা তো সেই স্বাধীনতা পাওয়ার পর কেউই এটাকে নষ্ট করতে চায় নাই । আমরা দেখলাম পাঁচ তারিখের ঘটনার পরে যখন এই ঘটনা ঘটলো তখনই বিএনপি জামাতে ইসলামী ইসলামী আন্দোলনের সমস্ত নেতাকর্মীরা হিন্দু মহল্লা এবং মন্দিরগুলোতে বিশেষ করে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে আরম্ভ করে বাংলাদেশের সব মন্দিরগুলোতে তারা পাহারা দিয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে এক দুই দিন না । 

আমি ছয় তারিখ সকালবেলা গিয়ে দেখলাম যে ঢাকেশ্বরী মন্দির যেটা আমাদের পাহারা দেয়ার কথা বা  ওইখানকার মন্দির যে কমিটিগুলো আছে তাদের ওইখানে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব তারা পালিয়ে পালিয়ে গেছে।  তো আমাদের এই হচ্ছে যে মন্দিরের লোক পালাবে কেন? খালি এখানে তাই না, বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব তিনিও পালিয়েছেন । আমার বক্তব্য হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যারা কমিটি তারা পালাবে কেন?  তার মানে হচ্ছে সমস্ত বিষয়গুলো তারা রাজনীতিকরণ করেছে ধর্ম থেকে আরম্ভ করে মন্দির মসজিদ কোনটাই বাদ দেয়নি তো আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম।

বিশেষ করে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বলেছিল যে, আওয়ামী লীগের যেদিন পতন হবে সেদিন ৩ লক্ষ মানুষ নিহত হবে । তো ৩ লক্ষ মানুষ নিহত হলে তো হিন্দুরা ওর মধ্যে আছে । ভারতের গণমাধ্যম কিছু কিছু গণমাধ্যম কেন এইভাবে এই বিষয়টা দেখেন ? এটাও রাজনীতি। রাজনীতি বলতে গেলে আমাদের পাশে যে শুভেন্দু বাবু আছে বিশেষ করে উনি এই বিষয় এটা নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য করেন ওখানেও তো আর আমাদের শেখ হাসিনার মত তো ভোট ছাড়া রাজনীতি না ওখানে ভোট পেতে হয় মারামারি কাটাকাটি হলেও নিতে হয়।  

উনি মনে করেছেন যে এই একটা সুযোগ বাংলাদেশে ১০ টা হিন্দু মন্দির ভাঙলে ১০ টা হিন্দু মারা গেলে ওদের লাভ । এইটাকে নিয়ে উনারা ওই এলাকার মধ্যে বলবে যে দেখেন বাংলাদেশে হিন্দুরা মাইনরিটি আজকে হিন্দুদের এই দুরবস্থা আজকে পশ্চিম বাংলায় যদি মুসলিমরা আরো বেড়ে যায় এবং যদি মমতা বন্দোপাধ্যায় থাকে তাহলে বাংলাদেশেও তোমার ভারতেও তোমাদের মত অবস্থা হবে। অতএব তোমরা বিজেপিকে ভোট দাও আগামীতে উনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া।  সূত্র : যমুনা নিউজ, জনকন্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়