শিরোনাম
◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ ◈ আগস্টে বাংলাদেশে সফর‌ নি‌য়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ তিন ইস্যু নিয়ে থমকে আছে ভোটের সিদ্ধান্ত ◈ অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ‌খেল‌বে বাংলাদেশ এ’ দল ◈ সাবেক সিইসি নুরুল হুদার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দায় স্বীকার, আদালতে জবানবন্দি ◈ বার্ডে ৭ পদের জন্য আবেদন ২৩ হাজার! হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, নিয়োগে তদবিরের অভিযোগে উদ্বিগ্ন প্রশাসন

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২৫, ০১:৩৯ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সস্তায় মাঠার নামে টিস্যু খাচ্ছেন না তো? সচেতন করছেন বিশেষজ্ঞরা (ভিডিও)

গরমে হাঁসফাঁস করা শহরবাসীর কাছে মাঠা বা বাহারি পদের শরবত এখন এক চুমুকে প্রশান্তির আশ্রয়। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে ‘সস্তা মাঠা’ বা ‘প্রাকৃতিক শরবত’ বলে বিক্রি হওয়া পানীয় নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—এসব পানীয়তে সত্যিকারের দই, মসলা কিংবা স্বাস্থ্যকর উপাদানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কেমিক্যাল আর রঙ মেশানো পানি, এমনকি কোথাও কোথাও টিস্যু পেপার ভিজিয়ে সেই পানি মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম ঘনত্ব!

রাজধানীর নিউমার্কেট, গুলিস্তান ও চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক অস্থায়ী দোকানে ‘মাঠা’ নামক একটি সাদা ঘোলাটে পানীয় ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে আসল মাঠার উপাদান দই-চিনির বাজার মূল্য হিসেব করলে কমপক্ষে ২৫-৩০ টাকা খরচ পড়ার কথা। সন্দেহজনক এই অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হওয়া পানীয়ের নমুনা পরীক্ষায় উঠে এসেছে, এতে কোনো দুধজাত দ্রব্য নেই বরং পানি, ফ্লেভার, রঙ এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম সংমিশ্রিত এক ধরনের দ্রবণ ব্যবহৃত হয়েছে। এবং ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য টিসু পেপারও ব্যবহার করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ভেজাল মাঠা পানে হতে পারে পেটের অসুখ, ফুড পয়জনিং, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি লিভার ক্ষতি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ডা. রওশন আরা বলেন, “টিস্যু বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে বানানো এইসব ভেজাল মাঠা শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল মাঠার দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে, রাস্তাঘাটে অস্বাভাবিক সস্তা দামে বিক্রি হওয়া কোনো পানীয় পান না করতে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে ১৬১২১ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানানোর জন্য।
বিস্তারিত ভিডিওতে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়