লুৎফর রহমান হিমেল: এখন সবাই লেখক হতে চায়, পাঠক নেই! লেখক বেশি হওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু পাঠকও বাড়ুক। পাঠক বাড়া ইতিবাচক দিক। পাঠকদের মধ্যেই তো আছেন অনাগত লেখকরা। কিন্তু সেই পাঠক কই। কেউ পড়ছে না যে বই। কিছু বই বেচাকেনা হচ্ছে যদিও, সেটি শুধু অন্যকে বলবার জন্য বা ছবি তোলার জন্য বা ফেসবুকে দেওয়ার জন্যই। লেখক তৈরি হয় লিখতে লিখতে। একজন লেখক সারাবছর প্রচুর পড়বেন এবং এরপর লিখবেন।
পত্রপত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হবে। সেসব পড়ে পাঠকপ্রতিক্রিয়াও প্রকাশ পাবে। এরপর সেসব বই মলাটবন্দি হয়ে বের হবে। সেই বই যে শুধু বইমেলাতে বের হতে হবে, এমন নয়। অন্য সময়ও প্রকাশ হতে পারে। এটিই স্বাভাবিক নিয়ম। আগে গানের অ্যালবামও এভাবে প্রকাশ হতো। সারাবছর শিল্পী গভীর সাধনায় সুরচর্চা করতেন। এরপর নানা মঞ্চে ও প্লাটফরমে তার নতুন গান পরিবেশন করতেন। এরপর সেসব গান শ্রোতানন্দিত হয়ে অ্যালবাম হয়ে বাজারে চলে যেতো। এখনকার লেখক বা শিল্পীদের মধ্যে পরিশ্রম ও চর্চাটা নেই বললেই চলে। লেখক বা শিল্পীদের বেশিরভাগের মধ্যে সেই সাধনাটাও নেই। শর্টকাটে সহজ পথে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হবার লোভ তাদের মধ্যকার সম্ভাবনাকেও শেষ করে দিচ্ছে। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :