শিরোনাম
◈ দুবাই যখন প্রায় ভারতের অংশ হয়ে গিয়েছিল  ◈ জামায়াতের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা ◈ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংসদীয় কমিটির সামনে বিশেষজ্ঞদের মতামত উপস্থাপন, চীনের প্রভাব ও সাংস্কৃতিক কূটনীতির সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ আলোচনা ◈ চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে ‘মার্চ টু এনবিআর’শুরু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান ◈ চীন সফরে পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক আরও নিবিড়-শক্তিশালী হয়েছে : মির্জা ফখরুল ◈ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু ◈ 'এই প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যত অন্ধকার', বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা ◈ কল‌ম্বো টে‌স্টে ইনিংস ও ৭৮ রা‌নে হে‌রে গে‌লো  বাংলাদেশ, সি‌রিজ জিত‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ বিশ্বে প্রথম ১০ ভাষার তালিকায় রয়েছে কোন কোন ভাষা, বাংলা কত নম্বরে ◈ ঢাকার খিলক্ষেতে পূজা মণ্ডপ ভাঙা ও উচ্ছেদ নিয়ে কী জানা যাচ্ছে?

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৬:৪৯ বিকাল
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৬:৪৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যারিস্টার সুমন হচ্ছেন বর্তমানে রাজনীতির একটা লিটমাস টেস্ট

আরিফ জেবতিক, ফেসবুক: গতকাল সিলেটে কয়েকজনের সাথে কথা হচ্ছিল, উনারা ব্যারিস্টার সুমনের নির্বাচনী এলাকার ভোটার, ভোট দিতে তাঁরা হবিগঞ্জ ফিরবেন। এই নিরুত্তাপ নির্বাচনে কেউ ভোট দেয়ার জন্য নিজের এলাকায় যাচ্ছে, এটি স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আপনার সেই লেভেলের জনপ্রিয়তা থাকলেই শুধু কোন মানুষকে স্বার্থহীন ভাবে একজেলা থেকে আরেক জেলায় আপনাকে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়ার মতো প্রভাবিত করতে পারবেন।

সুমনের নির্বাচনী জনসভার কিছু ছবি আমি রিলসে দেখেছি। বাঁধভাঙা মানুষ। সুমন কনফিডেন্সের সাথে বলেন, 'আমি সারাবছর লেখাপড়া করেছি। আমি পাস করব। আরেকজন সারাবছর লেখাপড়া না করে পরীক্ষার দিন এসে বলছেন আমি অমুকের তমুক, উনি কেন পাস করবেন?' 

সুমনের এই তুঙ্গ জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে তাঁর সোশাল মিডিয়া এক্টিভিজমের মাধ্যমে। তিনি জনবান্ধব কাজকর্ম করে সেগুলোকে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করার মাধ্যমে। এটি হিরো আলম কিংবা জায়েদ খানের মতো কৌতুক অর্জিত বিষয় নয়। লিড বাই এক্সাম্পল এর বিষয়। 

সোশাল মিডিয়া আমাদের প্রচলিত অনেক অভ্যাসকে ভেঙ্গে দিচ্ছে। একসময় যাদেরকে অগা-মগা-ডগা ভাবা হতো, তাঁরা এখন সরাসরি ইনফ্লুয়েন্স করছে। দেশের কিছু প্রমোটার আধাঘন্টা লাইভ করার জন্য ৫০ হাজার টাকা নেন বলেও শুনেছি। সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহিনীও দুপয়সা রোজগার করছেন। ডাক্তার, নন-ডাক্তাররা তাঁদের পসার জমিয়ে ফেলছেন। আমি এবার লন্ডনে একজনকে পেয়েছি, যিনি শুধু ডা.জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ডায়েট করবেন বলে প্রতি দুইমাসে একবার ঢাকায় আসেন। তিনি জানালেন তাঁর মতো আরো অনেকেই আছেন। আমাদের প্রচলিত ধারার মিডিয়াগুলো এখন সোশাল প্লাটফরমের সাথে পাল্লা দেয়ার চেষ্টা বাদ দিয়ে, বরং সোশাল প্লাটফর্মকে ইন্ট্রিগ্রেট করে নিচ্ছে।

এই যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, আমার পর্যবেক্ষনে, এটিকে সরাসরি ভোটের রাজনীতিতে কনভার্ট করতে সক্ষম এই সময়ে দুইজন ব্যক্তি। ব্যারিস্টার সুমন এবং ফারাজ করিম চৌধুরী। এর মাঝে ব্যারিস্টার সুমন এবার ভোটের মাঠে লড়ছেন। 

তবে এই যাত্রা সহজ হবে না। আপনি যখন সোশাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্স তৈরি করে প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন, তখন মূলধারার ব্যবসায়ীরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে না। আপনি যখন সোশাল মিডিয়া দিয়ে পার্সোনালিটি হতে চাইবেন, তখন মূল ধারার মিডিয়া আপনাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারছে না।

কিন্তু যখন সোশাল মিডিয়ার প্লাটফরম ব্যবহার করে রাজনীতিতে আসবেন, তখন ট্রাডিশনাল রাজনীতি আপনাকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে চ্যালেঞ্জ করবেই। ব্যারিস্টার সুমন যেহেতু ছাত্রলীগ করা আওয়ামী লীগের লোক এবং এবারের নির্বাচন যেহেতু একতরফা নিরুত্তাপ, তাই হয়তো তাঁকে খুব বেশি ঘাটানো হবে না। উনি একটা ফেয়ার চান্স পেলেও পেতে পারেন।

সুমন জিতলে এবং তাঁর জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারলে, রাজনীতিতে আরেকটি নতুন ডাইমেশন যোগ হবে। তখন অনেকেই এই পথ ফলো করে রাজনীতিতে পা বাড়াতে পারেন। তাঁদেরকে প্রাথমিক ভাবে ঠেকানোর অনেক চেষ্টা করবে ট্রাডিশনাল রাজনীতি। সেই চ্যালেঞ্জ কৌশলে পার হতে পারলে, বর্তমানে প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সেলসে যেভাবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ডমিনেট করছে, ভবিষ্যতে রাজনীতিতেও সেই চর্চা শুরু হবে ট্রাডিশনাল পলিটিক্যাল পার্টিগুলো তখন ব্যারিস্টার সুমনের মতো স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় সোশাল ইনফ্লুয়েন্সারদেরকে নমিনেশন দেয়া শুরু করবে।
অনেক 'যদি','কিন্তু' থাকলেও এই সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। 

ব্যারিস্টার সুমন হারবেন না জিতবেন, তাঁকে হারানো হবে নাকি ছাড় দেয়া হবে-এসব পর্ব শেষ হলে আমরা সেই নতুন সম্ভাবনার বিষয়টি আরো সহজে প্রেডিক্ট করতে পারব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়