নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিষ্কার হয়ে গেলো গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ড্র করার কারণ, ওই টেস্টে স্বাগতিক লঙ্কানরা একদমই ভালো খেলেনি, যে কারণে দুর্বল বাংলাদেশ কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে টেস্ট ড্র করতে পেরেছে, এবার কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কা শক্ত হাতে ব্যাট ধরায় বাংলাদেশ দলকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না, ওরা ভালো খেলেছে বলেই বাংলাদেশ দল লজ্জাজনক ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে,
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কাটা আগেই জেগেছিল বাংলাদেশের। চতুর্থ দিন সকালে সেই শঙ্কা বাস্তবে পরিণত হতে সময় লাগল আধা ঘণ্টারও কম। শ্রীলঙ্কান স্পিনে কাবু হয়ে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস ও ৭৮ রানে সিরিজ হেরে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শনিবার কলম্বোর সিংহলিজ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে চতুর্থ দিন বাংলাদেশের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩৪ বল। প্রভাত জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে সফরকারীরা অলআউট হয় ১৩৩ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মুশফিকুর রহিম। জয়াসুরিয়া নেন ৫ উইকেট।
৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ ইনিংস হার এড়ানোর জন্য তাকিয়ে ছিল লিটন দাসের ব্যাটের দিকে। কিন্তু দিনের চতুর্থ বলেই জয়াসুরিয়ার শিকার হয়ে সাজঘরের পথ দেখেন তিনি। কটবিহাইন্ড হয়ে এই উইকেটকিপার-ব্যাটার ফেরেন ১৪ রান করে।
পরের ওভারে নাঈম হাসানকে (৫) স্টাম্পিং করান জয়াসুরিয়া। দিনে নিজের তৃতীয় ওভারে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তাইজুল ইসলামকে (৬) ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে ১২তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। পরের ওভারে ইবাদত হোসেনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ইনিংসের ইতি টানেন থারিন্দু রত্নায়েকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের পাঁচজন ব্যাটার তিরিশের বেশি রান করলেও কেউই ফিফটির দেখা পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পাশাপাশি বড় কোনো জুটি গড়তে ব্যর্থ হওয়ায় সফরকারীরা অলআউট হয় ২৪৭ রানে।
জবাবে পাতুম নিসাঙ্কার ১৫৮ রানে এবং দিনেশ চান্দিমাল ও কুশল মেন্ডিসের জোড়া ফিফটিতে ৪৫৮ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা লিড পায় ২১১ রানের। তাইজুল নেন ৫ উইকেট।