পার্সটুডে - লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেছেন যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বছরের পর বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের নেতৃত্বে বিশ্বের কর্তৃত্ববাদী শক্তিগুলোর আগ্রাসন মোকাবেলা করে আসছে।
ইরনাার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম বৃহস্পতিবার বলেছেন: "[আমেরিকা এবং ইসরাইলের দৃষ্টিতে ইরানের সবচেয়ে বড় অপরাধ হল ফিলিস্তিন, বায়তুল মোকাদ্দাস এবং তাদের ভূমি মুক্ত করার জন্য সংগ্রামরত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দান।"
তিনি বলেন: "ফিলিস্তিনিদের প্রতি এই সমর্থনের ফলে ইরান শত্রুর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব আরও বলেন: "আমেরিকা এবং ইসরাইলের মূল লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে কিংবা ইসরাইল-মার্কিন আধিপত্য ধ্বংস করতে চায় এমন যেকোনো শক্তির উত্থানকে ধ্বংস করা।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইসরাইল-মার্কিন আগ্রাসনের পর, ইরান এখন আগের চেয়েও শক্তিশালী। সেইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ইরানের লড়াই করার ক্ষমতা এবং তাদের সাথে আপস না করার সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে।
শেখ নাইম কাসেম আরও বলেন: ইরান ইসরাইল-মার্কিন আগ্রাসনের তিনটি ঘোষিত লক্ষ্য, যেমন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে আঘাত হানা এবং ইসলামি সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে সফল হয়েছে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে আত্মবিশ্বাস এবং স্বাধীনতার কারণে ইরান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান জোরদার করতে পেরেছে উল্লেখ করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আমেরিকান দখলদারিত্ব ও আধিপত্যের মুখোমুখি হয়েছে।
আমরা আত্মসমর্পণ বা আপস করব না এবং আমাদের মাতৃভূমি ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সম্মানের জন্য প্রতিরোধ চালিয়ে যাব উল্লেখ করে হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন: অব্যাহত প্রতিরোধ এবং এবং আত্মসমর্পণ না করার নীতিতে আমরা অটল থাকবো।
শেখ নাইম কাসেম আরো বলেন হিজবুল্লাহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গর্বিত স্বদেশ গড়ে তোলার উপর জোর দেয়, এমনকি যদি এর জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন হয় তবুও।