শিশির ভট্টাচার্য্য: নবম-দশম শ্রেণীর সিলেবাস : বাংলা সাহিত্য, বাংলা সহপাঠ, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, ইংলিশ ফর টুডে, গণিত, ইংলিশ গ্রামার এন্ড কম্পোজিশন বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভূগোল ও পরিবেশ, অর্থনীতি, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়,বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ব্যাবসায় উদ্যোগ,ক্যারিয়ার এডুকেশন চারু ও কারুকলা, শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, সঙ্গীত, সচিত্র আরবি পাঠ, সংস্কৃত, পালি, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিস্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ধর্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ এই চতুবর্গের কোন বিষয়টা বাদ গেছে বলুন তো?
আমার মতে, পরিমাণে এবং বৈচিত্রে এর চেয়ে বেশি এ যাবৎ বাংলাদেশের কোনো প্রজন্ম পড়েনি। মাধ্যমিক পর্যায়ে এর চেয়ে বেশি পড়তে-পড়াতে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়া তিন মহাদেশের কোথাও দেখিনি। আর কী পড়ার, পড়ানোর থাকতে পারে, আমি অন্তত জানি না। যদি আপনার জানা থাকে, তবে সেটা বলুন। বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুসারে এদেশের সিলেবাস হবে, বিদেশের নিরিখে নয়। এটুকু পড়ার পর শিক্ষার্থী বুদ্ধিমান হলে বাকিটুকু নিজেই পড়ে ঘাটতি মিটিয়ে নিতে পারবে। বইগুলো নিজেই পড়ে দেখুন না। কিছুটা জ্ঞানতো হবে। বিশ্বের আর কোন বড়লোক কিংবা ছোটলোক দেশ কয়েক প্রজন্মের সব পাঠ্যবই এভাবে মাগনা সবাইকে দিতে পেরেছে, তাও দুই ভাষায়? আপনার পছন্দ না হলে ইংলিশ মিডিয়ামের মিডিয়াম মানের শিক্ষাতো রয়েছেই। সেখানে পড়িয়ে বাচ্চাদের বিদেশে পাঠিয়ে দিন। বিদেশের পাশেই তো স্বর্গ। ঝেড়ে কাশুন! ইংরেজিতে যেমন বলে, উড়হ'ঃ ঃযৎড়ি ধধিু ঃযব নধনু রিঃয ঃযব নধঃযধিঃবৎ. মনে রাখবেন, বাস-ট্রেনের মতো শিক্ষাও চালানোর জন্য আগুন দিয়ে জ্বালানোর জন্য নয়। ফেসবুকে ৪-১২-২৩ প্রকাশিত হয়েছে।