শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে সেভেন সিস্টার্স ও পাকিস্তান নিয়ে কেন চিন্তিত ভারত? ◈ ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের এএসআইসহ ৬ জন ◈ কবরস্থানে দুই বালতি ভর্তি ২০ তাজা বোমা উদ্ধার! ◈ সোমবার আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব : হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যসহ যেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ◈ মাস্ক পরা অবস্থাতেই চুম্বন, হংকংয়ে বস ও এক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নারীর যৌন নির্যাতনের মামলা ◈ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে বিপুল পরিমাণে চিনি ◈ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূতের সঙ্গে গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ ◈ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ভারত, কানাডার সঙ্গে বন্ধুত্বে খড়া, বিভিন্ন দেশে চলছে ইন্ডিয়া আউট আন্দোলন ◈ শুভেন্দু অধিকারী হয় বোকা, নয় মূর্খ, যিনি হঠাৎ করে বাংলাদেশ নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন!(ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:২৮ রাত
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০২:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে কি ভাষাগত দক্ষতা যাচাই করা হয়? 

শারফিন শাহ

শারফিন শাহ: ‘আমি জিপিএ ফাইভ পেয়েছি’ বাক্যটির ইংরেজি অনুবাদ এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া একটি মেয়ে পারেনি, আর এটাই সাংবাদিক ভিডিও করে ছড়িয়ে দিলো। আজকাল হাতে মোবাইল হলে সবকিছুই হওয়া যায়। এই মোবাইল এক ইচ্ছে দৈত্য। যে সাংবাদিক এই প্রশ্ন করেছেন তার বংশের সবাই কি ইংরেজির জাহাজ? তিনি নিজেও কি ইংরেজির বস? আমাদের শিক্ষা ভাষাকেন্দ্রিক নয়। ইউরোপে স্কুল থেকেই মাতৃভাষার পাশাপাশি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ফরাসি ও জার্মান শিখতে হয়। কারণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব এই দুই ভাষাতেই বেশি। ফরাসি দূরে থাক, আমরা তো ইংরেজিই পারি না। এর পেছনে বহু কারণ আছে। সবচেয়ে বড় কারণ আমরা ভাষাকে ভালোবাসি না। ভাষা শিক্ষাকে অবহেলা করি। বিদেশি যে কটা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থায় আবেদন করেছি, সবার আগে ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্র চেয়েছে। 

আর আমাদের শিক্ষক নিয়োগ থেকে সবখানেই একগুচ্ছ অপ্রয়োজনীয় শর্তজুড়ে দেওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে কি ভাষাগত দক্ষতা যাচাই করা হয়? এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও নয়। এজন্যই ছাত্রছাত্রীরা ভাষায় এমন দুর্বল থেকে যায়। আমাদের উপরে ওঠাই প্রধান ধর্ম। ভাষা শেখার দরকার কী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ফরাসি ভাষার কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম। নানা কারণে এগোতে পারিনি। উদ্বোধনী ক্লাসে অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য বলেছিলেন, ‘আমরা তো মাতৃভাষাই ঠিকঠাক পারি না, আমিও পারতাম না, কিন্তু এই আমি এখন বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি ভাষায় মোটামুটি দক্ষ। আমার মতো গ্রামের স্কুলে গরুর রচনা মুখস্থ করা বালকেরা কীভাবে তিনটি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে, এগুলো নিয়ে আমাদের পণ্ডিতদের ভাবা দরকার। ওই যে বড়লোকের ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া ছেলেটির ইংরেজি শিক্ষাকে আমাদের ইংরেজি শিক্ষার মানদণ্ড করা ঠিক নয়। আমরা চাষার বংশধর, আমাদের ইংরেজি শেখার ধরন বড়লোকের ছেলেমেয়েদের মতো হবে না। 

ভাষার গুরুত্ব না বুঝলে আমরা বোকার স্বর্গেই থেকে যাবো। আমার কাছে অবাক লাগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লোকবল নিয়োগে ভাষাগত দক্ষতা লাগে না, মনে করা হয় ভালো ফলাফল থাকলেই সব জানা আছে। পৃথিবীর কোথাও এরকম চিত্র নেই। আমি ভালো ছাত্র ছিলাম না। সেই অভাবের দায় থেকেই মনে হয় এখনও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভালো ছাত্র হলে হয়তো পারতাম না। আমাদের ভালো ছাত্রদের পড়াশোনা একটা সময়ের পর না করলেও চলে। আর ভাষা শেখা তো বহুদূর। লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়