শামীম আহমেদ: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে টানা ১৫ বছর। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জেতার পর তাদের টানা ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ হবে ১৫ বছর প্লাস। এই অবস্থার দুটো দিক আছে। [১] উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। [২] দুর্নীতির ধারাবাহিকতাও বজায় থাকে। পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দক্ষতা ও যোগ্যতা কোনো রাজনৈতিক দলেরই নেই। অথচ ক্ষমতায় পরিবর্তন দরকার আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের সরিয়ে তাদের চিন্তা ও আনুগত্য একমাত্র জনগণের প্রতি ফিরিয়ে আনবার জন্য।
কিন্তু কে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসবে? জামায়াত, জাতীয় পার্টি, বাম-ডান-মধ্য, দলত্যাগী, নোবেল বিজয়ী কারোরই সে সামর্থ্য নেই। এমতাবস্থায় বিএনপিই একমাত্র পারে ২০২৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসতে যাতে করে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে দুর্নীতির বীজ ঢুকেছে সেটি আর বাড়তে না পারে। কিন্তু বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে তাদের দলটাকে খোলনলচে পাল্টাতে হবে। এই কাজটা করার মতো বিএনপির কোনো নেতাকর্মী নেই বলে, আমি ঠিক করেছি বিএনপিকে কীভাবে ক্ষমতায় আনা যায় সে বিষয়ে আমি আগামী দিনগুলোতে নিয়মিত লিখবো।
বিএনপি যদি আমার পরামর্শ গ্রহণ করে, আমি আশাবাদী আগামী ৫ বছরের মধ্যে তারা আবার জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সক্ষম বিরোধীদল ও সরকারি দলের কার্যকরিতা নিশ্চিত করতে একজন মামুলি আওয়ামী কর্মী হিসেবে এটি হবে বিএনপি এবং দেশের প্রতি আমার সামান্য একটি উপহার। ধন্যবাদ। লেখক ও গবেষক
