শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও) ◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:৩২ রাত
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমেরিকার ভিসানীতি প্রয়োগ এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা

কাজী এম মুর্শেদ

কাজী এম মুর্শেদ: আমরা গত কয়দিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা, সম্ভাব্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে যথেষ্ট হাসাহাসি করছি। কেউ কেউ সম্ভাব্য নামের তালিকা দিয়েও বসে আছে। গণমাধ্যম যুক্ত হওয়ায় হাসিটা আরও বড় হয়েছে। এমন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য কোনো সম্মানজনক ব্যাপার নয়, তারপরও জনগণকে কি দেখেছেন স্বাগত না জানাতে? কেউই আপত্তি করেনি বরং স্বাগত জানাচ্ছে। এর দায় কার? পুরোপুরি ক্ষমতার রাজনীতির। রাজনীতিবিদরা দেশের অর্থনীতিকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর অবস্থা নেই, এই মেগা প্রকল্প দিয়ে কী হবে? 

আপনার চোখের সামনে একদল সুবিধাবাদী আমলা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচারবিভাগ, ব্যবসায়ী, কালোটাকার মালিক, দুর্নীতিবাজ, অসৎ রাজনীতিবিদ, মিথ্যা কথার বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। এর প্রতিবাদ করা যাবে না, তার শাস্তি ভয়াবহ। এই নিম্নচাপের অসহ্য গরমে একটু ঠাণ্ডা বাতাসের ছোয়া এই ভিসানীতি। তবে এখনো আশাকরি, বৃষ্টি আসবে আবহাওয়া শান্ত হবে। 

মূল দায় রাজনীতিবিদদের। তাদের এমন কোনো পথ নেই, যা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেনি। যাদের ব্যবহার করেছে, তারা এখন রাতে ঘুমের ওষুধ ছাড়া ঘুমাতে পারছে না। কখন মেইল আসে। মানুষ বিবেক বিবেচনার বাইরে গিয়ে যখন অর্থ আর ক্ষমতার লোভে যা ইচ্ছা করে, এমন সামান্য ধাক্কাও জনগণকে খুশি করে, হোক তা ভুল রাস্তা। রাজনীতিবিদরা রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ থাকলে এই অবস্থা হতো না, তাদের হিংসার রাজনীতি আর প্রতিহিংসার রাজনীতি তাদের বাঁচার একমাত্র রাস্তা ছিলো। এখন এই যে জনসম্মুখে বেইজ্জত হতে হবে, এর জন্য কি উপরের আদেশ যথেষ্ট? উপর মানে কতো উপর? সেই উপরওয়ালা মানুষকে চিন্তার ও সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা দিয়েছেন, আপনারা নেননি। বিশ্বের কাছে দেশের জনগণকে হাসির পাত্র বানিয়ে আমার কোনো পথ ছিলো না বলার সুযোগ নেই। উনাদের লোভ সামলাতে পারেননি। দম্ভ সামলাননি। কাম সামলাননি। সম্পদ নষ্ট করে গেছেন। হিংসা ছাড়েননি। অলসতা ছাড়েননি। শক্তির অপপ্রয়োগ করে গেছেন। সেই অরিজিনাল সিন বা সাতটা প্রাথমিক পাপের বাইরেও আরও পাপ করে গেছেন, করেই চলেছেন। এক পাপ ঢাকতে আরেক পাপ, তার উপর আরেক পাপ। এখন উনাদের নিয়ে হাসলে কী ভুল হবে। জনগণের লাভ নেই। কিন্তু চোখের সামনে হতাশ চেহারা দেখা দুর্বলের সান্ত্বনা। 

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমারও শুনে খারাপ লেগেছে, তারপরও মনে একটা সুখ পেয়েছি। আমরা কোনো না কোনোভাবে ভিক্টিম হয়েছি। আমি নিজেও হয়েছি, কিছুই করতে বা বলতে পারিনি। রাজনীতিবিদদের এই প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়তো আমরাই হবো। কিন্তু তারপরও জীবিত থাকতে যদি ভুগেন, পরে মাফ পেতেও পারেন। আমি তেমন ধার্মিক মানুষ নই, বিধর্মীও নই। আমার যা জ্ঞান তার থেকে বলি, সারাজীবন পাপ করতে পারেন, উপরওয়ালা আপনার প্রায় সব খারাপ কাজ মাফ করবেন। তবে যদি এমন কোনো খারাপ কাজ করেন যাতে আপনি জেনে বুঝে অন্যের ক্ষতি করেছেন, সেই ব্যক্তির কাছে মাফ না চাইলে এবং তিনি মাফ না করলে স্বয়ং উপরওয়ালাও মাফ করবেন না। মানুষের জন্য কাজ করতে এসে তাদের পয়সা নির্বিচারে নষ্ট করে গেছে, কতোজনের কাজ মাফ চাইবে? যাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি করে গেছে, কতোজনের কাছে মাফ চাইবে? আর মাফ না করলে? আমি নিজেও তো মাফ করবো না। আরও এমন অবস্থা আসুক, সেটা নিয়েও হাসবো। দুর্বল হলে এর চেয়ে বেশি কী করার আছে? লেখক: অর্থনীতি পর্যবেক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়