শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও) ◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০২ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামি রাষ্ট্র বলে আর কিছু সম্ভব নয়

মোকাররম হোসাইন

মোকাররম হোসাইন: ইসলামি রাষ্ট্র বলে আর কিছু সম্ভব নয়। যদি তেমন কোনো রাষ্ট্র হয় সেটা সালাফি, জামায়াতি, দেউবন্দি, বেরলভি, বালাকোটি, তালেবানি, রাফেজি, ইসমাইলি রাষ্ট্র হবে। ইসলামি রাষ্ট্র বলে যা হবে সেটা একটা ফেরকার প্রতিনিধি। সামগ্রিক মুসলিম উম্মাহকে ধারণ করে না এমন রাষ্ট্র। সেখানে অন্য ফেরকার মুসলমানরা অপর হয়ে যায়। সৌদিআরবে যেমন শিয়াদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নাই, ইরানেও তেমনি সুন্নিদের নাই। ইরানের সংবিধান শিয়া না হলে কাউকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে যোগ্য বিবেচনা করে না। ইসলামি রাষ্ট্র বলে যদি কিছু থাকে সেটা একমাত্র রাসূল (স.) এর প্রতিষ্ঠিত ট্রাইবাল কনফেডারেসিকে বলা যেতে পারে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বিভক্ত হতে থাকে মুসলমানরা। বিভক্ত কোনো উপদলের ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের রাজনীতি স্বীয় ফেরকাবাদ কায়েমের রাজনীতি। 

মদিনায় যে ট্রাইবাল কনফেডারেসি বা উম্মাহ মুসলিম ও অমুসলিম নানা গোত্রের সম্মতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তাকে ‘ইসলামি’ রাষ্ট্র বলাও সমস্যাজনক। এমনকি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সূত্রে ‘রাষ্ট্র’ বলা যায় না। রাষ্ট্র ধারণার উৎপত্তি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। সেই ইউরোসেন্ট্রিক রাজনীতি পুরো দুনিয়াকে প্রভাবিত করেছে বলেই মুসলমান সংখ্যাগরিস্ট কিছু রাষ্ট্র হাজির হয়েছে। মূলত ট্রাইবাল কনফেডারেসি একটা সাম্রাজ্যের শুরুয়াত। সেটা আরব সাম্রাজ্য যার স্পিরিট ছিলো ইসলাম।

ইসলামি রাষ্ট্র বলে নির্দিষ্ট কিছু নাই। ইসলামের এসেন্স ধারণ করে এমন সব রাষ্ট্রই ইসলামি রাষ্ট্র। বিধান ও আইনের স্পিরিটটাই হলো ইসলাম। বিধান ও আইন কায়েম হলো কিন্তু স্পিরিট কায়েম হলো তাতে ইসলামের কিছু আসে যায় না। ইসলামিস্টরা ক্ষমতায় আসলে ন্যায়বিচার কায়েম, নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসন, সুস্থ সাংস্কৃতিক বিকাশে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করবে। সর্বোপরি ইসলাম পালনে প্রেরণাদয়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে কিন্তু চাপিয়ে দেবে না। ফেসবুকে ২৩-৯-২২ প্রকাশিত হয়েছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়