শিরোনাম
◈ নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কারাগারে আইভী ◈ ‘মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্যের’ জবাব দিলেন আসিফ নজরুল ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার ◈ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় : ডা. জাহিদ ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল ◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ ◈ অনিশ্চয়তার মাঝেও পি‌সি‌বি চায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে আসুক

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:৫৬ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসুন, তিলোত্তমা ঢাকার সচিত্র গল্প শুনি

প্রতীক ইজাজ

প্রতীক ইজাজ: উৎপাতটা শুরু বিকেল থেকেই। গাড়িতে গ্যাস নিবো, শাহবাগ গ্যাস স্টেশন, লাইন ডিস্টার্ব, গ্যাস নেই। শূন্য গাড়িতে অফিস। রাতে দাওয়াত ছিলো। নামলো ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি। মাঝ পথে গিয়ে সেটাও বাতিল। এবার ফিরবার পালা। ততোক্ষণে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যেতে বসেছে শহর। মালিবাগ মোড়, শান্তিনগর থেকে কাকরাইল- হাঁটু পানি। কাকরাইল থেকে রমনার রাস্তা, বামে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালÑ তাও হাঁটু পানি, আবার শাহবাগ গ্যাস স্টেশন, গ্যাস নেই। এবার সোজা বাংলামোটর সড়ক, রাস্তার বাম পাশ থেকে অর্ধেক রাস্তা- হাঁটু পানি। সামনে ডানে টার্ন নিয়ে ইন্টার কন্টিনেন্টাল মোড় হয়ে বায়ে সবজি বাগান- হাঁটু পানি। সেই রাস্তা ধরে ডানে টার্ন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক- হাঁটু পানি। বামের গলি দিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের রেস্টুরেন্ট জয়ীতা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের রাস্তাÑ ওরে, সমুদ্র। 

এরপর মগবাজার মূল সড়কÑ হাঁটু পানি। বায়ে গ্যাস স্টেশন। এবার মিললো গ্যাস। মগবাজার টু মৌচাক, ফরচুন মার্কেট থেকে মালিবাগ মোড় নদী ও সমুদ্র। বায়ে বাসার গলি, পশ্চিম মালিবাগÑ হাঁটুর ওপরে পানি। রাত ১২ টা। বাসার গেট খোলা। থই থই পানি। নিচতলায় গ্যারেজ ও রাস্তায় হাঁটু পানি। বাসায় ওঠার সিড়ি পর্যন্ত পানির কী ঢেউ, আছড়ে পড়ছে পারে। প্যান্ট হাঁটুর ওপর তুলে গ্যারেজের মেঝেতে পা। ততোক্ষণে পেছনের সিটের নিচে পানি টলমল। হাত দিয়ে সেচলাম। কাপড় দিয়ে নিংরালাম। উঠলাম সিড়িতে। অবশেষে পৌঁছালাম বাসায়। আর দেখলাম, হাঁটু পানি কাদা আবর্জনা দুর্গন্ধ পেরিয়ে মানুষ হাঁটছে, ভট ভট শব্দ তুলে বিকল হয়ে যাচ্ছে অটো রিকশা, বিকল মোটর সাইকেল নিয়ে অসহায় দাড়িয়ে আছে বাড়ি ফেরা দম্পতি, ছেলে মেয়েরা, দোকান পাট বন্ধ, মুখে কথা নেই, নিঃশব্দ, নিরুপায়।

সারসংক্ষেপ: এই শহরের মানুষ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ টাক্স দেয়। এখানেই সর্বোচ্চ ব্যয় সরকারের। এখানেই সরকারের বাস। এখান থেকেই সর্বোচ্চ আয়। সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে বসবাস এখানকার মানুষের। অথচ এই শহর বৃষ্টিতে ডোবে, পচা আবর্জনার দুর্গন্ধ ভাসে বাতাসে, পায়ে পায়ে যানজট, দুর্ভোগ, ভয় শঙ্কা নিরাপত্তাহীনতা। অভিনন্দন ঢাকা, দুই মেয়র, কমিশনার, ঢাকা প্রকল্পের বড় বড় সরকারি কর্মকর্তাগণ, অভিনন্দন। লেখক : কবি ও সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়