ব্রাত্য রাইসু: সাফল্য বা জনসমর্থন দিয়া ক্রিয়েটিভিটি মাপার কিছু নাই। সাফল্য হইলো প্রাতিষ্ঠানিক মাপকাঠি। শিল্পী বা লেখকের সৃজনশীলতারে একটা বিশেষ ধরনে ও পথে চালিত করে প্রতিষ্ঠান। সেই পথে প্রতিষ্ঠানের তৈরি অতীত সংজ্ঞায় মিললে আর চাহিদা পূরণ করতে পারলে সাফল্য আসে। কিন্তু সৃজনশীলতা অতীত বা মাপকাঠি দিয়া মাপার বিষয় না। প্রতিটি সৃজনশীলতাই যেহেতু নতুন, তাই এর মাপকাঠি হয় না। নতুন সৃজনশীলতার প্রভাব ও বদলানোর ক্ষমতা দিয়াই এর গুরুত্ব বুঝতে হয়। অতি ক্ষমতার ক্রিয়েটিভিটি আবার সাফল্য নির্ধারক প্রতিষ্ঠানরেই আমূল বদলাইয়া দেয়। তখন বেহায়া প্রতিষ্ঠান নতুন মাপকাঠি আবিষ্কার করে।
ফলে প্রায় সব সফল ঔপন্যাসিক, লেখক ও কবিরা আবর্জনা বিশেষ। নিজেদের কপি। পুরস্কার পাওয়া আর্টিস্ট ও লেখকেরা আরো বড় আবর্জনা। কিন্তু সুন্দর, ঝকঝকা, ফকফকাÑসাজাইয়া রাখার মতো এবং আপনারা জানেন যে এরা, এই গরুরা ও গাভীরা, সাফল্যরে কেমনে সাজাইয়া রাখে, আর প্রচার করে! ২১/৯/২০২৩। লেখক: কবি