পান্থ রহমান: জানা নেই, আগে কেউ এমন অভিজ্ঞতা পেয়েছেন কিনা। আমার ফাদার-হুড তো মাত্র শুরু (অনেক চড়াই উৎরাই, লড়াই, ত্যাগ আর মন্দ কথা সহ্য শেষেÑ আল্লাহর রহমতে)। কোনো বাচ্চা মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে কীভাবে প্রথম চোখ খোলে, সেটা দেখার সুযোগ করে দিলেন আমাদের ডাক্তার। আমি দেখলাম, প্রথমবার কি বিরক্ত নিয়ে চোখ খুললো বাচ্চাটা। আমাকে কটমট দৃষ্টিতে দেখলো। ধমকাতে চাইলো। আমি তখন ওর ছবি তুলতে ব্যস্ত। যেন বলতে চাইছে, এ আমি কোথায় এলাম, আমাকে কোথায় নিয়ে এলে? আমি তো ভালই ছিলাম। এটা কোনো জঞ্জালে ফেললে?
ওর কয়েক হাতের মধ্যে কজন নার্স তখন উচ্চ কণ্ঠে গল্প করছে, ওটি’র ঠিক পাশে। সেটাও তাদের খুব পারিবারিক আলাপ, কলকাতার সিরিয়ালের মতো। আমি বাচ্চাটাকে বলতে চাইলাম, স্যরি বাপ। আমরা বড় স্বার্থপর। নিজেদের স্বার্থে তোকে জঞ্জালের মধ্যে এনে ফেললাম। ওয়েলকাম টু জঞ্জালের দুনিয়া। যেখানে প্রতি মুহূতেই নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকবে তোর সামনে। আমি অন্তত চেষ্টা করবো অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা আর চ্যালেঞ্জ থেকে তোকে আগলে রাখতে। বাকিটা ভবিষ্যৎ। আর হ্যাঁ, এসে যখন পড়লি, তো আপাতত একটু মানিয়ে নে। মহান আল্লাহ তোর সহায় হোন। ফেসবুক থেকে