শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২৩, ০৫:৩২ সকাল
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২৩, ০৫:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যৌনতার সহজলভ্যতা, যৌনতার আনন্দ এবং যৌন শিক্ষা

শোয়েব সর্বনাম

শোয়েব সর্বনাম: যৌনতা বাংলাদেশে যতোটা সহজলভ্য, আমার ধারণা দুনিয়ার কোনোখানে এতটা ইজি না। প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো মানুষের পক্ষে যৌনতায় ইনভলভ না থাকাটা প্রায় অসম্ভব। চারদিকে অনেক প্রলোভন। নারীদের জন্য তো ইচ্ছা থাকলে যৌনতা কোনো ঘটনাই না এই দেশে। যেকোনো নারী যৌনসম্ভাব্য পাঁচজন পুরুষকে প্রপোজ করলে ৩ জনই শুইতে রাজি অবস্থায় থাকবে। 

ফেসবুক, টিকটক তো পঁচেই গেছে, নতুন ডেটিং অ্যাপগুলো কিংবা টেলিগ্রাম গ্রুপগুলাতে যে পরিমাণ আইডি যৌনমূলক গ্যাদারিং করে, অন্য কোনো ধরনের গ্রুপে এতো গ্যাদারিং পাওয়া যাবে না। অনলাইনের হিসাব ধরেন বাদ দিলাম। উন্নত দেশে রেড লাইট এরিয়া আছে। আমাদের শহরটা পুরাটাই রেড লাইট এরিয়া। ঢাকার যেকোনো জনবহুল রাস্তা ঘাটে ফুটপাতে ১ ঘণ্টা হাঁটলে কয়েকরকম যৌনতার প্রলোভন বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে।

নারীর অভাবে যৌনতার অভিজ্ঞতা হয়নি এই কথা কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বলতে পারবে না। সামান্য সিকিওরিটি পাইলেই যৌনচাহিদাসম্পন্ন নারীরা পুরুষের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যেতে পারেন। অথচ এইগুলো ইওরোপে ইম্পসিবল। ফ্রি সেক্স বলে নিন্দা করা হয় যেসব দেশের, অন এভারেজ সেসব দেশের নারী পুরুষের চেয়ে আমাদের দেশের নারী পুরুষের যৌনতার অভিজ্ঞতা কমপক্ষে তিনগুণ বেশি। তারপরও কেন এই দেশে এত এত রেপ হয়?

কারণটা হচ্ছে ট্যাবু। সেক্স করা আর ক্রাইম করা একই ব্যাপার মনে করে আমাদের দেশের লোকেরা, যেইটা ইওরোপের লোকেরা ভাবতেই পারে না। যৌনতার আনন্দটা ইওরোপ উপভোগ করতে শিখে গেছে। আর আমাদের দেশের একদল লোক সেক্স করার পর বলতে থাকবে, খেয়ে দিলাম। একটা মানবজীবন কাটায়ে দিল এরা প্রচুর সেক্স করে ফেললো, অথচ যৌনতার আনন্দটা টেরই পেলো না। এরা শুধু খেয়ে দিলো। মূলত, সেক্স করার মধ্যে দিয়ে একটা ক্রিমিনাল ডিজায়ার ফুলফিল করে, ওরা মনে করে ওইটাই যৌনতা। এইভাবে একটা জীবন ওদের ক্রাইম কনফেস আর হিপোক্রেসির দুঃখে দুঃখে কেটে যায়। 

বেসিক্যালি, জীবনের একটা পর্যায়ে এরাই রেপিস্ট হয়ে ওঠে। দেখা যাবে, এদের শৈশবটা ভাল কাটে নাই, এদেরকে কেউ কখনো আদর করে নাই। অনাদর অবহেলায় বড় হয়ে এরা দুনিয়াটার উপর বিতৃষ্ণ। সুযোগসন্ধানীর মত চালাকি খাটায়ে কাবজাব বুঝায়ে একটা মেয়েকে নিয়ে খেয়ে দিলাম ভঙ্গিমায় শুয়ে পরে। 

আহমদ ছফা বলছিলেন, এই দেশের নারীরা তাদের যৌনাঙ্গটাকে মনে করে সোনার খনি। ফলে, পুরুষেরা যখন সোনার খনি লুট করে নিয়ে যায়, তখন নারীরা সেই দুঃখে কানবে। যৌনতার নামে এইগুলা চলতেছে একশ্রেনীর লোকেদের মধ্যে। ফলে একটা সময় তারা আর যৌনসঙ্গি পায়না। পুরুষগুলা প্যারা খেয়ে খেয়ে তখন সামনে যারে পাবে রেপ করে দিবে। আর এই রেপ কেসগুলার নব্বই ভাগই পরিচিতদের মধ্যেই ঘটে। নারীরা চেপে যায়। ফলে লোকেদের এই অভ্যাস বেড়ে গিয়ে এমন একটা পর্যায়ে পৌছায় যে শিশুরাও ক্ষমা পায় না এদের ক্রিমিনাল টেন্ডেন্সি থেকে। 

এই দেশের লোকেদের প্রোপার সেক্স এডুকেশনের দরকার আছে। যৌনতা যে আনন্দের ব্যাপার, এইটা কোনো ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি নয়, শুধু এই শিক্ষাটাই সকলের কাছে পৌঁছানো জরুরি। সেটা করা গেলেই এই দেশের লোকেদের মধ্যে একটা হেলদি সেক্স হ্যাবিটের প্র্যাকটিস শুরু হতে পারে। লেখক : কথাসাহিত্যিক 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়