রবিউল আলম: বাজেট নিয়ে কখনো লেখা হয়নি। কারণ আমি বাজেট সম্পর্কে বুঝি না। অংকের এই কঠিন শব্দে রাষ্ট্রের বাজেট। বিশ্লেষণ করার জন্য অর্থনীতিবিদ, ডক্টরেট, অধ্যাপক ও সিনিয়র সাংবাদিক হতে হয়। মন্ত্রী, এমপিকে কলমের প্যাচে ফেলানো কম কীসে! একদলের শ্লোগান, ‘গরিব মারার বাজেট’। যারা বাজেট ঘোষণা করেন, তাদের শ্লোগান ‘উন্নয়নের বাজেট’। আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয়কে বলা হয় বাজেট। আমার দোকানের কাস্টমার এক মন্ত্রীকে প্রশ্ন করে জানতে হয়েছে। এবারের বাজেটের একটি বিষয় আমাকে হাজারো প্রশ্নে জর্জরিত করছে। পত্র-পত্রিকায় কতশতবার পড়লাম, বাজেটে মাংসের দাম কমানো হয়েছে। বুঝতে পারছি না, কীভাবে কমানো হলো? বাংলাদেশে মাংসের কোনো মূল্য নির্ধারণ হয় না। মাংস আমদানি নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ পণ্যের রাজস্ব কমানো, বাড়ানো নিয়ে জনগণ ও সরকারের কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়!
ট্যাক্স নির্ধারণ হয় আমদানি ও উৎপাদনের উপর। কৃষিতে লাউ কুমড়া, আলু পটল, মাছ মাংসের উপর ভর্তুকি আছে, টেক্স নেই। সাধারণ মানুষের নিত্যপণ্যের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে সরকার এই নিষ্ঠুর কাজটি করেন না। বাজেটে মাংস আমদানির উপর ট্যাক্স কমানোর ঘোষণায়, হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। বাজেটে কমাইয়া দিলো, আপনারা কমাবে কবে? এতোদিন গলা কেটে টাকা কামাইছে, এখন ঠেলা সামলাইবেন কেমনে? সরকার মাংস প্রসেসিং করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আনছে। আপনাদের দিন শেষ ইত্যাদি প্রশ্নের অপ্রয়োজনীয় উত্তর দিতে হচ্ছে।
পাঠকÑ সাংবাদিকদের মনের মতো উত্তর দিতে পারছি না। যতোই বলি, বাংলাদেশে মাংস এখন আর আমদানি হয় না, আমদানির ওপর টেক্স কমালে মাংসের দাম কমবে কীভাবে? যেই পণ্য বাজারে নেই, ট্যাক্স কমানোর ঘোষণা আমার কাছে মশকরা মনে হচ্ছে! পুরনো ফাইল দেখে ঘোষণার সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে। মাংস আমদানি করে দাম কমানো যাবে না, দেশের সর্বনাশ করা যাবে। মাংসের দাম কমাতে হলে, পশুপালনের বিকল্প নেই। বাজেট বুঝি না বলে এভাবে বুঝাবেন? লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি