মনজুরুল হক: বিএনপি আমলে খাম্বা ছিলো, কারেন্ট ছিলো না, গণতন্ত্র ছিলো না, মানুষের হাতে টাকা ছিলো না, বাকস্বাধীনতা ছিলো না, দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন ছিলো’ চিবিয়ে চিবিয়ে তীব্র শ্লেষে যারা অহরাত্র এই কথা বলে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতেন, আইরনি হলো সেই তারা এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সারা দেশ দাবদাহে পুড়ছে, ৭/৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই। কোথাও ১২/১৪ ঘণ্টা নেই। বাজারে দ্রব্যমূল্যে আগুন। চুরি-ডাকাতির ভর্তুকি দিতে সকল নাগরিকের উপর বাধ্যতামূলক ট্যাক্স। মেট্রো, বিআরটি, এক্সপ্রেসওয়ের পরেও মুখ থুবড়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুতের অভাবে অর্ধেক কারখানা বন্ধ। বাকি ডলার শোধ না দিলে কয়লা আসবে না। বড় সাধের ক্যুইক রেন্টাল এখন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। না চললেও প্রতি ঘণ্টায় ২২ লাখ ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হচ্ছে। ডলারের অভাবে কয়লা আমদানি বন্ধ। সেচ কলগুলো বন্ধ। ফসল পুড়ছে।
অথচ তারা কতো ভাগ্যবান। বিএনপি বা অন্য কোনো দল ব্যঙ্গ করছে না। শতভাগ বিদ্যুতায়নের লেকচার এখন নিজেদের লোকজনও শুনতে চাচ্ছে না। রাত ৪টা-৫টাতেও যখন লোডশেডিং দিতে হয় তখন সরকারি লোকজন হাজার হাজার অফিসে লাখ লাখ এসি চালায় কোন মুখে? সহমর্মিতা তো নেইই, একটু আধটু লজ্জা-শরম অন্তত থাকা উচিত। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট