আর রাজী: অনেক দিন হইলোই আমার মনে এই বিশ্বাস তৈরি হইছে যে, পশ্চিমারা বৃটিশ আমলের লোকজনের মতো আর বৃটিশ-বুদ্ধি ধরে না। নানান সময় পশ্চিমাদের সঙ্গে নানান কাজে শিক্ষিত-বাঙালিরে যে পরিমাণ চিকন-বুদ্ধি খাটাইতে দেখছি, তাতে মনে হইছে শিক্ষিত-বাঙালিরে ধরা খাওইয়া দেওয়ার মতো পাকনা বুদ্ধি পশ্চিমা গো আর হইবো না। কিন্তু এই দফায় যুক্তরাষ্ট্রের বুদ্ধি দেইখা তো আমি পুরাই। এক্কেবারে টাশকি খাই গেছি! শিক্ষিত-বাঙালি, বিশেষত যে একবার যুক্তরাষ্ট্র দেইখা ফেলাইছে, তার পক্ষে আমেরিকা আর যাইতে পারবে না, এই পর্যন্ত মাইনা নেওয়া যদি সম্ভবও হয়, তার বউ-বাচ্চাও যাইতে পারব না, এই হুমকি হজম করা প্রায় অসম্ভব। আমেরিকা ভিসার চাল হাল্কার উপ্রে মাইরা শিক্ষিত-বাঙালির বুদ্ধিরে এক্কেবারে ঝাপসা বানাইয়া দিছে।
কিন্তু শিক্ষিত-বাঙালির বদমাইশি বুদ্ধির উপরে আমার বিপুল আস্থায় এখনো কিছুমাত্র চির ধরেনি। নিশ্চয়ই অচিরেই তারা কিছু না কিছু নতুন চাল বা উপায় বাইর কইরা ফেলাইবো। দেশে সব আকাম-কুকাম জারি রাখার পরও কীভাবে আম্রিকার ভিসা অটুট থাকে বা লাগান যায় তা তারা বাইর কইরা ছাড়বোই। কাগজপত্রে বউরে তালাক দিয়া স্বাধীন কইরা দিবো দরকার হইলে, আর বাচ্চা-কাচ্চাদের বেলায় নিশ্চয়ই কিছু উপায় বের হইয়া যাইবো যাইবো। আশা হারানো পাপ। শিক্ষিত-বাঙালি চিকনা-বুদ্ধিতে আম্রিকার বাপ। লেখক: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়