শিরোনাম
◈ মধ্যরাতে গ্রেফতার ব্যারিস্টার সুমন (ভিডিও) ◈ অক্টোবরেও ঊর্ধ্বমুখী  রেমিট্যান্সের গতি ◈ বাতিল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প  ◈ বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে ◈ ‘আমি কোন দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নিই’: (ভিডিও) ◈ ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা প্রশ্নে যা বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল (ভিডিও) ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি অসত্য বলেননি: মানবজমিন সম্পাদক (ভিডিও) ◈ দিল্লি থেকে মীরাটের সেনানিবাসে শেখ হাসিনা?

প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৩, ০২:১২ রাত
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০২৩, ০২:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন বছরের বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বনাম রাজাকারের অর্থনীতি-রাজনীতি

ড. মঞ্জুরে খোদা

ড. মঞ্জুরে খোদা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ একটি বহুল আলোচিত বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে এককথায় মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষাকেই বুঝায়। মানে যে কারণে ও প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল তাকেই বুঝানো হয়। পাকিস্তান আমলে পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণকে নানাভাবে শোষণ করা হতো। তাদের প্রতি পক্ষপাত, অবিচার, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, বঞ্চনার সবটাই ছিল। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অধিকারহীন। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই ছিল সেই মুক্তযুদ্ধ। যুদ্ধ শুরুর সময় অস্থায়ী সরকারের পক্ষ থেকে এপ্রিল ঘোষণায় যে কথাই বলা হয়েছিল, ‘পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি’। 

তার মানে, বাংলাদেশ হবে জনগণের দেশ এবং জনগণের দ্বারা পরিচালিত দেশ এবং এদেশে হবে সব ধরনের বৈষম্য, অনাচার,  অন্যায়, অবিচার ও শোষণহীন অসাম্প্রদায়িক দেশ-সমাজ হবে। সংবিধানেও উল্লেখ আছে যে, ‘আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে’ তার ভিত্তিতেই সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিকে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদকে মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন এই চার নীতির আসলে কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে? বাস্তবতা হচ্ছে এর অনেকটাই আজও অধরা ও কল্পনা মাত্র। কেন এই অবস্থা? সেই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। তার কিছু আলাপই এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মতো রাজাকারও একটি বহুল আলোাচিত শব্দ। রাজাকার কে বা কারা ছিল? রাজাকার শব্দের অর্থ স্বেচ্চাসেবক হলেও তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে এই শব্দের অর্থ হয়েছে প্রচণ্ড নেতিবাচক। যেমন মীরজাফর লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সিরাজদ্দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। কিন্তু আজ তার প্রতিকি মানে দাঁড়িয়েছে বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক। রাজাকার একটি বাহিনী এবং একইসঙ্গে এটা ছিল রাজনৈতিকভাবে প্রশিক্ষিত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত একটি সংগঠন। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের শাসনকে টিকিয়ে রাখা। মানে অখণ্ড পাকিস্তানের শাসন তাদের অর্থনীতি ও রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখা। পাকিস্তানের যে রাজনীতি ও অর্থনীতির বিরুদ্ধে বাঙালিরা মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছে, যুদ্ধ করেছে। 

ড. মুনতাসীর মামুন ভাষায়, ‘১৯৭১ সালের ১ জুন জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অর্ডিন্যান্স ১৯৭১ জারি করে আনসার বাহিনীকে রাজাকার বাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। তবে এর নেতৃত্ব ছিল পাকিস্তানপন্থী স্থানীয় নেতাদের হাতে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৭ সেপ্টেম্বর জারিকৃত এক অধ্যাদেশ বলে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীর সদস্যরূপে স্বীকৃতি দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে রাজাকার বাহিনী একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তরের মর্যাদায় উন্নীত হয়’। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’র আহ্বায়ক ড. এম এ হাসান বলেন, রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে অংশ নিতো, মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতো, হত্যা করতো কিংবা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতো। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতো।       

রাজাকারের রাজনীতি না হয় বুঝলাম, কিন্তু তাদের অর্থনীতি কী ছিল? খুব অল্প কথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে রাজাকারের অর্থনীতি হচ্ছে বাঙালিদের শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্য, অধিকারহীন করে রাখা ও পূর্ব বাংলার অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে নেয়ার পাকিস্তানি নীতিই ছিল রাজাকারের অর্থনীতি। তার মানে বাঙালির অর্থসম্পদ লুণ্ঠন ও পাচারে সহযোগিতাই ছিল তাদের প্রধান কাজ। আর তা করা হয়েছিল ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর রাজনৈতিক কাঠামোয়। ধর্ম ও সংস্কৃতির নামে তা করা হয়েছে। পাকিস্তানের সেই দুঃশাসেই ছিল এ জাতির স্বশস্ত্র সংগ্রাম গড়ে তোলার ভিত্তি। 

তবে এ কথা বলা যায় স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনের মাধ্যমেÑ শাসক ও শোষণের অবস্থার প্রকৃতি ও চরিত্রগত পরিবর্তন ঘটেছে। এখন স্বজাতির শাসন-শোষণ, নিপিড়ন চলছে। রাজাকাররা যে অবস্থা রক্ষার জন্য সেদিন জাতির সঙ্গে বেঈমানী করেছিল। আজ সে সব অন্যায়-অপরাধ-অবস্থা মাত্রা ভেদে এখনো বজায় আছে। সেই অর্থনীতি ও রাজনীতি এখনো বজায় আছে। বিজাতীয় শাসকের বদলে স্বজাতির লোকেরা সেই কাজ করছে। দল-জোট-মহাজোটের নামে রাজাকারের অর্থনৈতিক ধারাতেই দেশ চলছে। রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করা। কিন্তু সেটা হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধই জয়ী হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনারই জয় হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের যে অর্থনীতি, শোষণ বঞ্চনার নীতি, যাকে আমি রাজাকারের অর্থনীতি বলছি, সেখান থেকে এ দেশ তার স্বাধীনতার ৫২ বছরেও বের হয়ে আসতে পারেনি। 

আজ থেকে ৫২ বছর আগে আমরা রণাঙ্গনের জয় পেলেও শোষণ, লুটপাট ও পাচার মুক্ত সমাজ পাইনি। মুক্তিযুদ্ধের অর্থনীতি মানে, আয়ের সমতা, সবার জন্য কাজ, শোষণ, লুটপাট বন্ধ করা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা কিন্তু সেটা হয়নি। এখানে তার কিছু তথ্য উল্লেখ করছি। [১] একাত্তরে পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শোষণ-বঞ্চনা-লুটপাটের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষ সংগ্রাম করেছিল। ৫২ বছর পরে স্বাধীন বাংলাদেশে এখন ২২ পরিবারের বদলে সারে ৫ হাজার পরিবার তৈরি হয়েছে। তার মানে স্বাধীনতায় এই দেশের ধনীক-বনিক, লুটেরা শ্রেণী সুবিধাভোগী হয়েছে সাধারণ মানুষ হয়নি, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। 

[২] বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তানের ২৪ বছরের শাসনামলে পাকিস্তানিরা এই অঞ্চল থেকে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, এই রাজাকার মুক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশে ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল এই দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা (গ্লে¬াবাল ফাইনান্স ইন্টিলিজেন্স বা জিএফআই)। এই হিসেব গত ৫০ বছরের করা গেলে এর পরিমাণ হবে কয়েকগুণ। এই তথ্যই বলছে, বাংলাদেশে অর্থ-সম্পদ লুটপাট ও পাচার বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের ২৪ বছরের তুলনায় বাংলাদেশের ১০ বছরেই প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি অর্থপাচার হয়েছে। দেশে দেশে বেগমপাড়া গড়ে উঠেছে। এখন এই পাচারের দায় কাদের? এখন তো পাকিস্তান ও বিজাতীয় শাসক নেই। তাহলে রাজাকারের সেই অর্থনৈতিক ধারা চালু থাকে কী করে? স্বাধীন দেশে এই অবস্থার দায় কাদের?  

[৩] হিসেব এখানেই শেষ নয়, সুইসব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, গত একদশকে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৫ হাজার ২৯১ কোটি টাকা জমা পড়েছে। [৪] বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। যদিও আইএমএফ বলছে, প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি। তাদের বক্তব্য, সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ হবে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ঠিকমতো হিসাবে করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ হবে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। ভাবতে পারেন কী বিপুল পরিমাণ ঋণখেলাপি হয়েছে? যা উদ্ধারের সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ। 

[৫] বাংলাদেশের কী পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ আছে, তার কোনো প্রকৃত হিসাব নেই। টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের কালো টাকার পরিমাণ জিডিপির ১০ থেকে ৩৮ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে। সাবেক অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত বলেছিলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর মোট জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জিডিপির আরও ১ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে জিডিপির ৩ থেকে ৪ শতাংশ ক্ষতি ধরলে দুর্নীতির কারণে বছরে ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। 

[৬] অন্যদিকে বাংলাদেশে ভূমিহীনের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ, বেকারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি, প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমান নীচে বাস করছে। ভাবতে পারেন? স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও কোটি কোটি মানুষ অভুক্ত, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও আশ্রয়হীন, অন্যদিকে কোটিপতির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। [৭] রাজনৈতিক অধিকারের কথা বলা হলেও মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে অধিকারহীন করে রাখা হয়েছে। দেশে কর্তৃত্বপরায়ন এককেন্দ্রীক শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান। এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে যেখানে সবকিছু বিত্তবানদের দখলে চলে যাচ্ছে। সংসদে ব্যবসায়ীদের অবস্থান ৬৩ ভাগ, যা পাকিস্তান আমল ও বাংলাদেশের প্রথম সংসদে ছিল ১২ থেকে ১৫ ভাগ। 

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও, মাথাপিছু আয় বাড়লেও বৈষম্য দিনদিন বাড়ছে। যাদের জীবনে স্বাধীনতা গুণগত পরিবর্তন আনতে পারেনি তাদের কাছে এই স্বাধীনতার অর্থ কী? রাজাকার একটা বুলিং বা গালি। কাউকে আঘাত-অপমান-খোচা দিতে এর ব্যবহার হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকার বাহিনীর ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডের জন্য এ শব্দটি এখন লজ্জার ও ঘৃণার প্রতীক। আবার যারা সররকারের অন্যায়-অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন তাদের রাজাকার চেতনায় বিশ্বাসী বা রাজাকারের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ধারার সমর্থক হিসেবে আক্রমণ করা হয়। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরও আক্রমণ করা হয়। কিন্তু যারা উন্নয়নের নামে রাজাকারের অর্থনৈতিক ধারাকে অনুসরণ করেন, রাজাকারের অর্থনীতিকে যারা টিকিয়ে রাখেন তাদের কী বলা হবে? লুটপাট ও পাচারের এই অর্থনৈতিক ধারাকে রাজাকারের অর্থনীতি বললে কি তা অন্যায় ও অযৌক্তক বলা হবে? সেটা তো আমরা চাইনি, চাই না।     

ড. মঞ্জুরে খোদা, লেখক, উন্নয়ন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়