কাবেরী গায়েন: শামীম সিকদারের সাহস আর কাজ করার স্পৃহা অসাধারণ। তাঁর জীবন বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য পথ প্রদর্শনকারী। এই সাহসের একটুও আর দেখি না। মেয়েরা কি এখন আর ভাস্কর্য বানান বাংলাদেশে? বাংলাদেশে ভাস্কর্য শিল্পের আসলেই প্রকট দৈন্য। সত্যি বলতে, শামীম সিকদারের বানানো ভাস্কর্যের খুব ভক্ত আমি, এমন দাবি করি না। কিন্তু তাঁর কাজ করে যাওয়াকে সম্মান করি। তাঁর ভাস্কর্য বানানোর তাগিদ এবং চেষ্টা অসম্ভব মূল্যবান। নভেরা, শামীম শিকদার...। এরপর কে?
শামীম সিকদারের কাজকে শুরুর দিকের কাজ হিসেবে ধরে বাংলাদেশের মেয়েরা, ছেলেরা একদিন নিশ্চয়ই ভালো ভাস্কর্য তৈরি করবেন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু উদাহরণ পাই না। দেশের পরিস্থিতিও বোধহয় আর ভাস্কর্য তৈরির জন্য নিরাপদ নয়। দেশে ভাস্কর্য কতো নিম্নমানের তৈরি হয়, সেটা দেখা গেছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বানানো ভাস্কর্যগুলো দেখে। তবুও এই ‘পুরুষের জগতের কাজ’ তিনি করে গেছেন বলেই জানা গেছে মেয়েরা করতে পারেন এসব শক্ত কাজ। শুধু এই কারণেই তাঁর ভূমিকা ঐতিহাসিক। শান্তিতে ঘুমান শামীম সিকদার। আমাদের শিক্ষার্থী জীবনের বিস্ময়। শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা জানাই। ফেসবুক থেকে