শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:৫৫ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাবির উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্রদের ভূমিকা কী?

আখতারুজ্জামান

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে তহবিল গঠন করার আহ্বান জানান। এই জন্য উপাচার্যকে অনেক ধন্যবাদ।

উনার এই আহবানে অ্যালামনাইরা কতটা সাড়া দিয়েছেন তার কোনো উল্লেখ নেই এই রিপোর্টে যা খুবই ফ্রাস্ট্রেটিং। ওই এসোসিয়েশনের সদস্যরা সবাই আমেরিকায় থাকেন এবং তাদের অনেকেই আমেরিকার অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

তারা নিশ্চয়ই জানেন, সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইরা কি বিপুল অংকের অর্থ দান করেন। অথচ এত বড় একটি অনুষ্ঠান হয়ে গেলো, সেখানে একটি পয়সা ডোনেশনের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। 

এমআইটি কিংবা হার্ভার্ডে এমন অনুষ্ঠান হলে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবেই মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ডোনেশন হিসাবে আসতো। এই অনুষ্ঠানে যা হলো সেটা হলো খাওয়া দাওয়া আর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় নিয়ে তারা কতটা গর্বিত সেই আলাপ।

গর্বের সাথে যে দায়িত্ব যোগ থাকে সেটা তারা বেমালুম ভুলে গেলেন। দেশে কিংবা বিদেশে আমাদের এলামনাইরা আসলে এমনই। ঢাবি নিয়ে তাদের গর্বের শেষ নেই, কিন্তু এটিকে সাহায্যের ব্যাপারে থাকে নীরব। অনেক ক্ষেত্রে পারলে এর ক্ষতিও করে।

যেমন বর্তমান বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণদের অধিকাংশই ঢাবির সাবেক ছাত্র বা ছাত্রী। ঢাবির উন্নয়নে তাদের কী ভূমিকা? না তারা অর্থ দিয়ে ভূমিকা রাখে না তারা কর্ম দিয়ে ভূমিকা রাখে।

এখন যারা শিক্ষক তারাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে কি ভূমিকা রাখছে? বর্তমান শিক্ষকরাইতো শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন বোর্ডে আছেন এবং তাদের হাতেই অযোগ্যরা নিয়োগ প্রমোশন পাচ্ছে।


তবে এলুমিনাইদের অনেকে অভিযোগ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডোনেশন দিলেও কোনো উপকার হবে এই নিয়ে তারা সন্দিহান। এই কথাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেদের শিক্ষকরা ইচ্ছে করে দলান্ধ হয়ে দলীয় স্বার্থে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন দেয় তারা ডোনেশনের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করবে কিনা সন্দেহতো করাই যায়। যুক্তি তাদের অভিযোগ খন্ডন করার মতো যুক্তি কি আমাদের আছে?


 লেখক: শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়