জাকির তালুকদার: বিরতির সময় আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হতাশা দেখলাম ফেসবুকে। গালিও দিচ্ছিলেন অনেকেই। বাপ্পী পর্যন্ত ফোন দিয়ে বললো, রাত জেগে এমন খেলা দেখার কোনো মানে হয়। বললাম, রাগ কেন? আর্জেন্টিনা জিতবে তো। কীভাবে জিতবে? এমন খেললে কেউ জেতে? বললাম, আর্জেন্টিনা ভালো খেলছে তো। প্রথম ২৫ মিনিটের পর থেকে খেলা তো ওদেরই দখলে। বিড়বিড় করে কিছু একটা বলে বাপ্পী ফোন কেটে দিলো।
শক্তির বিচারে ১৯-২০, এমন দুই দলের খেলায় কোনো দল যদি ড্র করার জন্য খেলে, তাহলে অপর দলের গোল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তদুপরি দুই দল যখন একে অপরের খেলা নিখুঁতভাবে বোঝে। মেক্সিকো ঠিক সেটাই করছিল। এই ম্যাচে এক পয়েন্ট পেলে পরের খেলায় সৌদিকে হারালেই তাদের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া সহজ হয়ে যাবে।
এমন অবস্থাতেও আর্জেন্টিনা দল মাথা ঠাণ্ডা রেখে ছোট পাসেই খেলেছে। রাফ ট্যাকল করতে যায়নি। সেটপিস তৈরির চেষ্টা করেছে। তবু গোল পাচ্ছিল না। তখন গোল পাওয়ার বিকল্প একটি উপায় আচমকা শট। মেসি সেভাবেই গোল পেলেন। তারপরে সেই অগ্রবর্তিতা ধরে রাখার জন্য ডিফেন্সিভ হয়ে পড়ে বেশির ভাগ দল। আর্জেন্টিনা ডিফেন্সিভ হয়নি। বল পায়ে রেখে মাঝমাঠের দখল নিশ্চিত করেছে। ফলে আরেকটি গোলও পেয়েছে। তবে দুটো গোলই কিন্তু হয়েছে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে আচমকা শটেই। তাই কোচের স্ট্রাটেজি তো সফল বলতেই হবে। লেখক: কথাসাহিত্যিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :