আফসান চৌধুরী: [১] হুন্ডির বয়স হাজার খানেক তো হবেই আর ব্যাংক কালকের ছেলে। কিন্তু যে কারণে হুন্ডিকে গালি দেওয়া যায়, কিন্তু থামানো তো দূরের কথা, কমানো যায় না তার কারণ প্রাতিষ্ঠানিকতা। আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক নয়, এখনো চলে ইনফরমাল কায়দায় ব্যাংক নাম দিলেও লোন দিই খাতিরে। অতএব মুখে ব্যাংক, আসলে সুদখানা।
[২] আমরা যেভাবে সরকার চালাই বা পাল্টায়থ কোনোটাই ফর্মাল নয়। সেটা মার্শাল ল হোক অথবা গণআন্দোলন হোক। আমাদের নির্বাচন অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে হয়। যে সমাজ প্রাতিষ্ঠানিক সরকার পদ্ধতি চালু করতে পারে না, সেখানে হুন্ডি থাকবেই। একটা গবেষণা করেছিলাম আমাদের রাষ্ট্রিক আইন কতোদূর পর্যন্ত বলবৎ আছে সেটা দেখতে। সে সূচকে ঢাকার ভেতরেও আইনি কাঠামো পাওয়া যায় না। ঢাকার ভেতর উপÑঢাকা আছে অতএব গ্রামের তো প্রশ্নই আসে না।
[৩] আমাদের কলোনিয়াল প্রতিষ্ঠানিকতা দিয়ে ইনফরমাল সমাজ চলবে না। ব্যাংকে রেমিট্যান্সের যতো টাকা আছে, গ্রামে তার হয়তো প্রায় সমান আছে মানুষের কাছে। ওটা কাজে লাগানো নিয়ে ভাবা উচিত যেভাবেই হোক। এটা হুন্ডির টাকা। পাবলিক সরকার নয়, সরকারিতে বিশ্বাস করে না অতএব হুন্ডি টিকবে। আর সরকার নিজেও চর্চা করে না সরকারিতে তাই যতই গালি দিক, হুন্ডি এক বিন্দু কমেনি।
লেখক: গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক