সিমু নাসের: নগর পরিকল্পনাবিদ, মেয়র, সরকার, যথাযথ কর্তৃপক্ষ সবাইকে স্যালুট। দেশের রাজধানীর একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য মূল শহর থেকে একটিই মাত্র রাস্তা পরিকল্পনা করার জন্য।
প্রতিদিন ফেসবুকে উত্তরা-টঙ্গীবাসীদের হাহাকার শুনি। শুনি বিমানগামী যাত্রীদের হাহাকার। যাত্রীরা বিমান মিস করে, পাইলটরা পাশেই হোটেল থেকে সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারে না। ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপগুলোতে যাত্রীরা প্রতিদিন জানতে চায়, আমার অতটার সময় ফ্লাইট কয়টায় রওনা দিবো? কারো কাছে কোনো উত্তর নেই। আমি নিজে রাত ১২টার ফ্লাইটের জন্য সন্ধ্যা ৬টায় রওনা দিয়ে রাত ১০টায় পৌঁছাই, তাও টেনশনে থাকি ফ্লাইট ধরতে পারবো তো! কিন্তু যাদের এসব ঠিক করার দায়িত্ব তারা ঠিকই ভিভিআইপি মর্যাদা দাবি করে সময় মতো পৌঁছে যায়। তাদের যাওয়ার জন্য সেদিন আরও কিছু মানুষের ফ্লাইট মিস হয়।
এমন অবর্ণনীয় কষ্টের শহর পৃথিবীতে আর একটাও আছে কিনা সন্দেহ। এ শহরে রাস্তা ঠিক নাই, বলার মতো পাবলিক পরিবহন নাই, ট্রাফিক লাইট নাই, হর্নের শব্দে কান ঝালাপালা। যাদের এসব ঠিকঠাক করার কথা তারা আছে কনক্রিটের বোঝা ফ্লাইওভার বানানো নিয়ে, অকার্যকর ইউলুপ বানানো নিয়ে আর লোক দেখানো উন্নয়ন নিয়ে।
আমি নগর পরিকল্পনাবিদ নই, তাই আবারও দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নগর পরিকল্পনাবিদ, মেয়র, সরকার, যথাযথ কর্তৃপক্ষ সবাইকে স্যালুট। দেশের রাজধানীর একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য মূল শহর থেকে একটিই মাত্র রাস্তা পরিকল্পনা করার জন্য। ফেসবুক থেকে