মাসুদ রানা: একজন অনুজ প্রতিম স্নেহভাজন, যে আমাকে ‘গুরু’ সম্বোধন করে, আজ আমাকে গুরুদক্ষিণা দিয়েছে তার সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটিয়ে, যার শিক্ষা আমি তাকে কখনও দিইনি। হিজাব আরোপণের বিরুদ্ধে ৬টি বাক্যে লিখিত আমার গতকালের পৌস্টের তৃতীয় বাক্যটি ছিলো ‘আরোপিত হিজাবে বন্দিনীর চেয়ে প্রকৃতিতে স্বাধীন নগ্ন নারী অনেক বেশি সাবলীল, সুন্দর ও মর্য্যাদার।’ স্বঘোষিত শিষ্যটি আমার সমালোচনা করে একটি পৌস্ট দিয়েছে ঐ বাক্যটির মাথা কেটে শুধু লেজটি উপস্থাপন করে। সে তার সমালোচনা শুরু করেছে এভাবেঃ "একজন শ্রদ্ধাভাজন লিখেছেন- ‘প্রকৃতিতে স্বাধীন নগ্ন নারী অনেক বেশি সাবলীল সুন্দর ও মর্যাদার।’
হয়তো যেমনটি আশা করা হয়েছিলো, যথারীতি নারী-স্বাধীনতার বিরুদ্ধবাদীরা আমার (নাম অনুল্লিখিত) বিরুদ্ধে মনের ঝাল মিটিয়ে খিস্তি করেছে এবং প্রশংসামূলক বিশেষ সহযোগে ঐ মিথ্যার বেসাতির সমর্থন করেছে, যদিও একজন উল্লেখ করেছে যে, পুরো বাক্য না লিখে অংশবিশেষ দিয়ে পৌস্ট দেওয়াটি ঠিক হয়নি।
যাহোক, ফেইসবুকে প্রকাশিত আমার পৌস্টটি এখনও আছে, যার বাক্যগুলো পাঠকদের জন্যে নীচে হুবহু তুলে ধরছিঃ ‘যে-হিজাব পরিহিত নয়, আরোপিত, সে-হিজাব অশ্লীল। মানুষের স্বাধীনতাহীনতার চেয়ে বড়ো নিঃস্বতা, নগ্নতা ও অশ্লীলতা আর নেই!’ আরোপিত হিজাবে বন্দিনীর চেয়ে প্রকৃতিতে স্বাধীন নগ্ন নারী অনেক বেশি সাবলীল, সুন্দর ও মর্য্যাদার। আরোপিত হিজাব পুড়িয়ে ফেলো। হিজাব পরা কিংবা না-পরা, মানুষ হিসেবে তোমার স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলে, এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করো। বিদ্রোহ তোমার মানবাধিকার।
দুঃখজনকভাবে, স্বঘোষিত শিষ্যটি আমার লেখার শুধু কণ্টেক্সটই বাদ দেয়নি, মাঝখান থেকে একটি বাক্য তুলে এনে ওপর সুকৌশল অস্ত্রোপচার করে এর মাথা কেটে বিকৃত দেহটি প্রকাশ করেছে। এটি হচ্ছে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার মতো অবিশ্বস্ততা তথা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুমারা চ্যালাটি যদি আমার লেখার নীচে এসে সমালোচনা করতো, আমি তাকে স্বাগত জানাতাম এবং এখনও জানাবো। কিন্তু সে তা না-করে আমার কথাকে বিকৃত করে সমালোচনামূলক পৌস্ট দিয়ে সে শুধু আমার প্রতি অবিশ্বস্ততারই পরিচয় দেয়নি, সে নিজেকেও সত্য-বঞ্চিত ও অপমানিত করেছে। তার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবেঃ সমালোচনা করো কিন্তু মিথ্যা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তা করো না! সততার সাথে সমালোচনা করো, শুধু ধন্যবাদ নয়, কৃতজ্ঞতাও জানাবো। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
আপনার মতামত লিখুন :