শিরোনাম
◈ টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়েছে ঘরবাড়ি ◈ তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিরাট কনফিডেন্স বুস্টার: আশিক চৌধুরী ◈ আমেরিকানদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে যেসব দেশ ◈ দুবাইয়ে সম্পত্তির ইস্যুতে এনটিভির মুখোমুখি আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ মানবহীন জেট ড্রোন কিজিলেলমা: সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সমন্বিত ফ্লাইটে নতুন মাইলফলক ◈ লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভে খালিস্তানপন্থীদের বাধা (ভিডিও) ◈ এবার দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা ◈ বিদেশি বন্দরে নাবিকদের পালিয়ে যাওয়ার হিড়িক: হুমকির মুখে বাংলাদেশের মেরিন সেক্টর (ভিডিও) ◈ সিরাজগঞ্জে প্রকাশ্য কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা ◈ দে‌শে ফি‌রে‌ মোস্তা‌ফিজ বল‌লেন, বিদেশি লিগে আরও বাংলাদেশি ক্রিকেটার প্রয়োজন

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:১০ সকাল
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিরাট কনফিডেন্স বুস্টার: আশিক চৌধুরী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিরাট কনফিডেন্স বুস্টার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজস্ব ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে আশিক লিখেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধবতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। উনার আগমন সিগন্যাল দেয় যে আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি।

বিনিয়োগকারীদের জন্য এটা বিরাট কনফিডেন্স বুস্টার। গত সপ্তাহে আরো একটা ভালো ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে: বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ)।

বিশ্ববাজারে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) বা ইপিএ আবশ্যক। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে।

ভিয়েতনামের এমন চুক্তি আছে প্রায় ৫০টি দেশের সঙ্গে, কম্বোডিয়ার আছে প্রায় ২০টি দেশের সঙ্গে। আর আমাদের এমন কম্প্রিহেনসিভ এগ্রিমেন্টের সংখ্যা শূন্য। আমরা এ গোল্ডেন ডাক ব্রেক করতে যাচ্ছি জাপানের সঙ্গে ইপিএ করে। গত সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে নেগোশিয়েশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পরবর্তী আইনগত ধাপগুলো সম্পন্নের পর এটি কার্যকর হবে।

 

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এটা বিশাল একটি পদক্ষেপ, মূলত তিনটি কারণে। এক. বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান: বিনিয়োগকারীরা ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে অপারেট করতে পছন্দ করে। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো সেই ফ্রেমওয়ার্কটা তৈরি করেছে এফটিএ বা ইপিএ’র মাধ্যমে। আমাদের এগুলা না থাকার কাফফারা হিসেবে জাপানের উদাহরণ দেয়া যায়।

এত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ গত ৫৪ বছরে হয়েছে মাত্র ৫০০ মিলিয়ন ডলার। এ ইপিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে জাপানি বিনিয়োগকারীরা পলিসি কনটিনুইটি, লিগ্যাল জুরিসডিকশন, এমএফএন, ইত্যাদি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাবে।

 

আগামী দিনে বিনিয়োগ শুধু পরিমাণে নয়, বৈচিত্র্য ও গুণগত মানেও বহুগুণে বাড়বে। জাপান থেকে বিশেষ কিছু খাতে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে— আইসিটি ও ডিজিটাল সেবা, লজিস্টিকস ও সাপ্লাই চেইন, ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি/অ্যাগ্রো-প্রসেসিং। সেই সঙ্গে দেশের তরুণদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতাও বাড়বে।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে পোস্টে বলা হয়, জাপানে আমাদের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার: বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রথম দিন থেকেই পোশাকসহ ৭ হাজার ৩৭৯ টি পণ্যে জাপানের বাজারে তাৎক্ষণিক শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পক্ষান্তরে, জাপান ১ হাজার ৩৯টি পণ্যে বাংলাদেশের বাজারে তাৎক্ষণিক শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। সেবা বাণিজ্য খাতেও উভয় দেশ উল্লেখযোগ্য অঙ্গীকার করেছে। বাংলাদেশ জাপানের জন্য ৯৭ টি উপখাত উন্মুক্ত করতে সম্মত হয়েছে। অন্যদিকে জাপান বাংলাদেশের জন্য ১২০টি উপখাতে ৪টি মোডে সার্ভিস উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সব মিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পরিমাণ বাড়বে।

তৃতীয় কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি: এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলোর একটা বড় সমাধান হচ্ছে দ্রুত বাণিজ্যিকভাবে ইম্পর্ট্যান্ট দেশগুলোর সাথে এই চুক্তি সম্পন্ন করা। অন্যান্য দেশে এসব এফটিএ/ইপিএ নেগোসিয়েশনের জন্য সরকারে স্পেশালিস্ট এক্সপার্ট টিম থাকে। আমরা প্রথমবারের মতো একটা সলিড দল তৈরি করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমেরিকা, কোরিয়া, তুরস্ক, ইত্যাদি দেশের সাথে অলরেডি কথা শুরু হয়েছে। এ দলটা কিছুদিনের মধ্যেই ঝানু নেগোসিয়েটরে পরিণত হবে। ২০২৫ সালে আমরা চেষ্টা করেছি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করার ক্ষেত্রে বেসিক কিছু ট্র্যাক সেট করা। আশা করছি আগামী সরকার এ ভীত গড়ার উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবে এবং দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়