মার্কিন অর্থনীতিবিদ পিটার শিফ আবারও সতর্ক করে বলেছেন যে, বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি বড় সংকটের দিকে এগোতে পারে। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতা ক্রমেই গভীর হচ্ছে।
২৬ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি বলেন, বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের দীর্ঘদিনের প্রভাব ধীরে ধীরে কমছে।
শিফ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ কেনার প্রবণতা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত কওে বলেছেন যে দেশগুলি ডলার-ভিত্তিক সম্পদের বিকল্প খুঁজছে, যা মার্কিন রাজস্ব ও মুদ্রানীতির উপর ক্রমহ্রাসমান আস্থাকে প্রতিফলিত করে। তিনি বলেছেন যে এই পরিবর্তন অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ডলারকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং বৃহৎ বাজেট ঘাটতি অর্থায়নের জন্য কম খরচে ঋণ নেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে।
শিফ বাড়তে থাকা সরকারি ঋণ, দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি এবং ঋণের সুদ পরিশোধের ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে ডলারের দুর্বলতাকে যুক্ত করে সতর্ক করেছেন যে, নীতিনির্ধারকেরা ‘সফট ল্যান্ডিং’ নিশ্চিত করার বদলে এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা মুদ্রার মান আরও হ্রাস করবে এবং মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অস্থিরতা বাড়াবে। তিনি শক্তিশালী শেয়ার বাজার পারফরম্যান্স বা নির্বাচনী অর্থনৈতিক সূচকগুলির উপর ভিত্তি করে আশাবাদকেও উড়িয়ে দিয়ে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এই ধরনের সংকেতগুলি গভীর ঝুঁকিগুলোকে আড়াল করে।
শিফের মতে, ক্রমবর্ধমান সোনার দাম অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার পরিবর্তে ডলারের অবমূল্যায়ন এবং পদ্ধতিগত ঝুঁকি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। ডলারের পাশাপাশি শিফ ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিশেষ করে বিটকয়েন নিয়েও তাঁর দীর্ঘদিনের সন্দেহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিরি আরও বলেন, স্বর্ণের দাম বাড়ার সময়ে ক্রিপ্টো সম্পদগুলো নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি। এতে তাঁর বিশ্বাস আরও জোরালো হয়েছে যে, ফিয়াট মুদ্রার ওপর আস্থা কমলে ঐতিহ্যগত মূল্য সংরক্ষণকারী সম্পদই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
সূত্র: ফিনবোল্ড