মনিরুল ইসলাম: প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ জানিয়েছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ভুলভাবে দাবি করেছে যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ১০০ জন ছাড়িয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা ৬২—যা গত বছরের ৫৭ জনের তুলনায় সামান্য বেশি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ফয়েজ আহম্মদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। তিনি টিআইবির সাম্প্রতিক বিবৃতিকে “ভুলে ভরা ও যাচাইকৃত তথ্যবিহীন” বলে উল্লেখ করেন।
তার ভাষ্য, “টিআইবি একটি সম্মানিত সুশীল সমাজ সংস্থা হলেও এবার তারা যাচাইকৃত তথ্যের পরিবর্তে অযাচাইকৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের ভিত্তিতে বিবৃতি দিয়েছে, যা হতাশাজনক।”
ফয়েজ আহম্মদ আরও জানান, এবারের প্রতিনিধি দল আগের চেয়ে ছোট এবং বেশি ফলাফলমুখী। গত পাঁচ দিনে দলটি অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে, যার মধ্যে ছয়টিরও বেশি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, প্রতিনিধি দলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা কর্মী নিয়ে গঠিত, যারা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সুরক্ষা দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছ থেকে পাওয়া হুমকির কারণে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তার দাবি, এবারের ইউএনজিএ বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময়ে যখন কিছু মহল ইচ্ছাকৃতভাবে জুলাইয়ের বিদ্রোহকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লবিং করছে—সেক্ষেত্রে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা কেবল কৌশলগত নয়, অপরিহার্যও।
ফয়েজ আহম্মদ আরও জানান, প্রতিনিধি দলে কয়েকজন সদস্য রয়েছেন যারা ৩০ সেপ্টেম্বরের রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া, আরও কিছু উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধি দলের বাইরে থেকেও বৈশ্বিক সমকক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে যুক্ত হচ্ছেন।
তার ভাষায়, “এই অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি স্পষ্ট বার্তা দেয়—বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”