শিরোনাম
◈ অবশেষে ৫ যুগ পর রাজধানী থেকে সরছে গোল্ডলিফ-বেনসনের কারখানা! ◈ ইসরায়েলে মাইক্রোসফট কার্যালয়ের কাছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত, ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী ◈ গ্লোবাল সুপার লিগ খেল‌তে  ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স ◈ অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩: ইরা‌নের এক রা‌তের হামলায়  তেল আবিবে অন্তত ৫০ ইহুদিবাদী নিহত ◈ ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে দুই সপ্তাহ সময় নিলেন ট্রাম্প (ভিডিও) ◈ পর্যটনে সেরা ১০ মুসলিমবান্ধব অমুসলিম দেশ ◈ ৫ সচিবকে এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ◈ রেললাইনে বসে গল্প করছিলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন তিন বন্ধু ◈ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি: হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের নিরাপত্তা বৈঠক, বড় ঘোষণা আসছে ◈ চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ২২ জুন

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২৪, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ২৭ জুন, ২০২৪, ০২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনা মানুষের হৃদয়ের কথা জানেন

দীপক চৌধুরী

দীপক চৌধুরী: বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  হাত ধরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলুক বাংলাদেশ এটি অনেকেই চায় না। বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি দল ফেরিপথে ক্ষমতায় বসতে কি না চেষ্টা করেছে। কতোরকম ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করেছে জামায়াত-বিএনপি। লাভ হয়েছে? কিছুই হয়নি? কারণ এই দলটি সাধারণ মানুষের। জনগণের কষ্টের সঙ্গে, দুঃখের সঙ্গে এ তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের হৃদয়ের কথা জানেন। সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর মুখে এ একথাটিই জোরালোভাবে উঠে এসেছে যে, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশ আমরা স্বাধীন করেছি।’ তিনি  বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা এই  দেশকে বিক্রি করে না। আমরা এই  দেশ স্বাধীন করেছি, এটা মনে রাখা উচিত।’ তিনি আরো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘যারা সমালোচনা করে, তাদের জানা উচিত, একটিমাত্র মিত্রশক্তি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে  দেশ স্বাধীনে সহযোগিতা করেছে। 

পৃথিবীতে যারা মিত্রশক্তি, যারা যুদ্ধে সহযোগিতা করে, তারা কিন্তু ওই দেশ ছেড়ে যায়নি। এখনো জাপানে আমেরিকান সৈন্য, জার্মানিতে রাশিয়ান সৈন্য আছে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এখানে ভারত কিন্তু ব্যতিক্রম। তারা মিত্রশক্তি হিসেবে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করে এসেছে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখনই চয়েছেন, তারা (ভারতের সৈন্য) দেশে ফেরত যাক- ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছেন এবং তাদের ফেরত নিয়ে গেছেন।’ সোজা কথায় দেশগঠনে শুধু ভারত নয়, যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে তিনি চুক্তি-সমঝোতা চুক্তি করবেন। ভোটের  মাধ্যমে  গণরায় দিয়ে জনগণ তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছে- একথাটা ভুলে গেলে চলবে না। নিজের জন্য নয় মানুষের ভাগ্যের, কর্মের, আনন্দের, সুখের জন্য রাজনীতি করতে গিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জীবন বারবার হুমকির মুখে পড়েছিলো। 

কিছুদিন যাবৎ দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে আবারো উত্তপ্ত করার নানা কৌশল চলেছে। পরিষ্কার হয়ে উঠেছে অতীতের মতো আগামিতেও নানারকম কর্মসূচিতে বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে টেনে নেবে। জামায়াত ছাড়া তো বিএনপি রাজনীতির ময়দানে হাঁটতেই পারে না। এরজন্য যা কিছু দরকার যে ধরনের ছাড় দরকার তাও দেবে বিএনপি। অবশ্য সবসময়ই জামায়াতে ইসলামী নির্ভর বিএনপি নামক দলটি নতুন খেলা খেলবে। বিএনপির এখনো বিশ^াস যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের দলকে ক্ষমতায় বসাবে। ইরাক, সিরিয়া, ভিয়েতনাম, যুগোস্লাভিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যাচার করেছে, ভয়ঙ্কর অপবাদ দিয়েছে। অথচ বিএনপি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের আশায় আশায় ক্ষমতার চেয়ারের দিকে হাত বাড়িয়ে অপেক্ষায় আছে। রাজনীতির নামে এমন নিকৃষ্ট কৌশল এদেশে প্রয়োগ সহজ করে গেছেন জিয়াউর রহমান। কীভাবে রাজনীতিতে অপকৌশল প্রবেশ করাতে হয়, কীভাবে রাজনীতিকে ‘ডিফিকাল্ট’ করতে হয় আর কীভাবে রাজনীতিতে ‘৭১-এর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করতে হয় তা শিখিয়ে গেছেন। ১৯৭৮ সালের ১১ জুলাই পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানপন্থী জামায়াতে ইসলামী নেতা গোলাম আজম ঢাকায় ফিরে আসেন জিয়ার পরামর্শে। সেই যে আসা এরপর জিয়াউর রহমানের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই করতে হয়নি তার। 

শুরু করা হয় কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দেশ থেকে  নির্মূল করা যাবে সেই পরিকল্পনা। কে না জানে জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতার কথা। বিএনপি-জামায়াত আসলে কী চায়? ১৯৭১-এর কথা মনে আছে জনগণের। সেই স্বপ্ন বিএনপির আর পূরণ হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার বদলে বিএনপি সব সময় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিদের লালন-পালন ও আশ্রয় দিয়ে জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত। মঙ্গলবারই সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থানের কথা পরিষ্কার করেছেন। বিএনপির এগুলো কি নতুন কোনো কথা? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে হওয়া সকল চুক্তি বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে কি কিছু হওয়ার কথা? বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। দেশের স্বার্থে যা করা দরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা-ই করতে চান।  

প্রমাণিত আজ, একটি দেশ ও জাতির জীবনে কীভাবে পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব তা অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন গোটা দুনিয়াকে। আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের  ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বিশে^র অনেক সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপধান, রাষ্ট্রনেতাও বাংলাদেশের বর্তমান বিশাল অর্জনে বিস্মিত। সারাবিশ^ এখন অবাক যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে টানা চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিন ক্ষমতা থাকা দলটির হাত ধরেই উন্নয়ন-অর্জনে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ। নিজ অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, থার্ড টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প দৃশ্যমান হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি, স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। 
লেখক : আমাদের অর্থনীতি, উপসম্পাদক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক ও ফিল্মমেকার      

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়