সালেহ হাসান নকীব: আমি যখন ছোট ছিলাম, ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং নিয়ে আমার ব্যাপক উত্তেজনা ছিল। একটু বড় হওয়ার পর মনে হতে লাগল, র্যাঙ্কিংওয়ালাদের আসলে প্রথমেই যেটা নিশ্চিত করা দরকার সেটা হচ্ছে, যেটাকে ইউনিভার্সিটি নামে ডাকা হয়, সেটা প্রকৃতপক্ষেই ইউনিভার্সিটি কি না। ধরুন র্যাঙ্কিংওয়ালারা জানতে পারল একটি তথাকথিত র্যাঙ্কড পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজনীতি, আঞ্চলিকতা, আত্মীয়তা, ধর্ম ইত্যাদি দেখে শিক্ষক নিয়োগ হয়। টাকাপয়সার আদানপ্রদানও চলে। অথবা হলে বৈধ সিটটি বুঝে পেতে একজন ছাত্রকে সরকার দলীয় পাণ্ডাদের পয়সা দিতে হয়। অথবা গণরুমে অধিকারহীন ছাত্রদের চাহিবা মাত্র মাঝবয়সী অপদার্থ ছাত্রনেতাদের হুকুমে ‘লেফট-রাইট’ করতে হয়। ইত্যাদি। এবং আরো অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এই সব চূড়ান্ত অসভ্যতার সব খবর প্রশাসনের কাছে আছে। কিন্তু এই ব্যাপারগুলোতে প্রশাসন টুঁ শব্দটিও করতে চায় না। এখন বলেন, এই প্রকৃত অবস্থা জানলে র্যাঙ্কিংওয়ালারা, র্যাঙ্কিং তো দূরের কথা, এসব প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেবে? না দেওয়াই তো উচিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গড়ে উঠুক। তারপর নাহয় র্যাঙ্কিং নিয়ে দু’চার কথা বলা যাবে। প্রাণহীন সংখ্যা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বড় ব্যাপার। আগে এই বড়ত্বের ভার নেওয়া শিখতে হবে। ২-৫-২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :