আল আমিন : প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেছেন, আমাদের দেনা পরিশোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। আগামী একবছর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসা করতে পারলে বিনিয়োগ পাওয়া সম্ভব। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। দেনা পাওনার পূর্ণাঙ্গ হিসাব করতে ইভ্যালির সার্ভার চালু করার কথা জানিয়ে শামীমা নাসরিন বলেন, সার্ভার ওপেন করতে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে প্রয়োজন।
গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে একবছর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসা করতে চায় ইভ্যালি । ইভ্যালি কোনো টাকা পাচার করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভ্যালি মানিলন্ডারিং করার মতো কোনো অপরাধ করেনি।
টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে আমরা দুবাইও যাইনি। ইভ্যালির সার্ভার খুলতে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে প্রয়োজন জানিয়ে শামীমা নাসরিন বলেন, এ ব্যাপারে আমরা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত ও পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো।
অ্যামাজনের সঙ্গে আমরা যোগোযোগ করছি, তারা রিকভারি কোনো প্লান দিতে পারে কি না। তিনি বলেন, ১৫ অক্টোবর আমরা নতুন সার্ভারে নতুনভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করবো।
আমরা যদি ব্যবসা শুরু করতে পারি তাহলে ধীরে ধীরে রিকভারি করতে পারবো। আমাদের সব ডাটা অ্যামাজনে আছে।
সার্ভার ওপেন হওয়া মাত্রই ক্রমানুসারে ও গুরুত্ব বুঝে যেসব পণ্য ওয়্যার হাউসে আছে এবং গেটওয়েতে যে টাকা জমা আছে সেগুলো ধীরে ধীরে ছাড়বো। ইভ্যালির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহক-মার্চেন্টের টাকা ফেরত দিতে চাই।
তবে এখনই সময় বা ডিরেক্ট টাইম ফ্রেম জানাতে পারছি না। টাইম টু টাইম আপনাদের আপডেট জানাবো।
গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেনা পরিশোধ করতে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিনিয়োগ। একটি যথাযথ পরিমাণে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। মূলত আমাদের লক্ষ্য ছিল ইভ্যালিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পর আমরা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নেবো।
আমরা চেয়েছিলাম বিদেশি বিনিয়োগ কম ভ্যালুয়েশনে না আসুক। কম ভ্যালুয়েশনে শেয়ার হস্তান্তর মূলত দেশীয় সম্পদের জন্য একটি বিরাট ক্ষতি।
বাংলাদেশের এমন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারী এখানে অর্থ বিনিয়োগ করলেও প্রাপ্ত মুনাফা তারা এই দেশ থেকে তাদের দেশে নিয়ে যাবে। এএইচ