ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরইমধ্যে নির্বাচনের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্র নির্দিষ্ট করেছে ইসি। প্রকাশ হয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জনের ভোটার তালিকা।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে লাল বা অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৮ হাজার ৭৪৬টি, হলুদ বা ঝুঁকিপূর্ণ ১৬ হাজার ৩৫৯টি, সবুজ বা সাধারণ ১৭ হাজার ৬৫৬টি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবে দুই থেকে তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য। আর সাধারণ কেন্দ্রে থাকবে একজন সদস্য।
৮ বিভাগের মধ্যে অতিঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ২ হাজার ৬৭৫টি। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রামে ১ হাজার ৪৪০টি। বিভাগের মতো মেট্রোপলিটনেও অতিঝুঁকিপূর্ণ সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৬৯৫টি। দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রামে ৩১২টি। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ছাড়াও সেনা, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলাবিাহিনীর সাড়ে ৮ লাখ সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) এ এইচ এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে ফোর্স মোতায়েন করা হবে। যেগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে ফোর্স বেশি থাকবে আর যেখানে কম ঝুঁকি সেখানে কম ফোর্স থাকবে। এ লক্ষ্যে আমরা নির্বাচন প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজন আমাদের সবার দায়িত্ব। শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য সরকারি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল এবং জনসাধরণ একসঙ্গে একটা টিম হয়ে কাজ করতে পারি, তাহলে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’
তবে সারা দেশে হত্যা-ছিনতাইসহ অপরাধ বেড়ে যাওয়া এবং থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না, এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক অবস্থা। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যদি স্বাধীনভাবে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং আইনের ভেতরে থেকে যদি তারা দায়িত্ব পালন করে- আমার মনে হয় না কোনো ধরনের শঙ্কা তৈরি হবে।’ উৎস: সময়নিউজটিভি।